খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় মাশরুম চাষ করে সফল হয়েছেন এক তরুণ উদ্দোক্তা। স্বল্প পুঁজিতে ভালো মুনাফা হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় এলাকার অনেকেই ঝুঁকছেন মাশরুম চাষের দিকে। এখানকার উৎপাদিত মাশরুম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জাকিরের এমন সফলতায় খুশি স্বজনসহ এলাকার মানুষ। শুধু তাই নয়, তাকে দেখে পাশের মানুষ এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন মাশরুম চাষে।
অন্তরা খাতুন (জাকিরের স্ত্রী) বলেন, তার স্বামীর উপার্জনে খুশি তিনি। আগে সংসার অভাব অনটনের মধ্যে চললেও মাশরুম চাষের পর সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।
জাকির হোসেন (উদ্দ্যোক্তা) বলেন, গেলো বছর যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কৃষি বিভাগের সহায়তায় নিজ বাড়িতে ছোট পরিসরে বসত ঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা ব্যবহার করে মাশরুম উৎপাদন শুরু করেন তিনি। শুরুতে ১০০টি পলিথিন প্যাকেটে পরীক্ষামূলক মাশরুম চাষ শুরু করলেও বর্তমানে প্যাকেট রয়েছে ৩০০টি। এখন প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে মাশরুম চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
খোকসা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সদর উদ্দিন বলেন, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন খাবার। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে এরই মধ্যে এটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
খোকসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা জানান, মানব দেহের জন্য খুবই উপকারি ও ঔষধিগুণে ভরপুর একটি দ্রব্যের সহজ সরল নাম মাশরুম। স্বল্প পুঁজিতে লাভজনক হওয়ায় মাশরুম চাষে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তবে, মাশরুম চাষ দেশের পুষ্টি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available