নিজস্ব প্রতিবেদক: ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংস্কারক হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই অডিটোরিামে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আগামী প্রজন্মকে খানবাহাদুর আহছানউল্লার আদর্শ, মানবতার কল্যাণ, সমাজ কল্যাণ এবং শিশু-কিশোর ও তরুণদেরকে নৈতিক প্রজন্ম হিসেবে গোড়ে তোলার লক্ষ্যে এই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় বলে জানান আয়োজকরা।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক ও ছড়াকার আনজির লিটন। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. নায়লা পারভীনের সঞ্চালনায় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চিত্রকলা প্রশিক্ষক জাহিদুর রহমান সুমন, অনিক সাহা সুমিত এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।
এ সময় বক্তারা বলেন, মুসলিম শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা ও অনাগ্রহ দূরীকরণে এবং অগ্রগতি সাধনের অনুকূলে উচ্চ পর্যায়ে নীতি নির্ধারণে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার প্রচেষ্টায় প্রথমে অনার্স ও এম.এ পরীক্ষার খাতায় নামের পরিবর্তে ক্রমিক নং (রোল নং) লেখার রীতি প্রবর্তিত হয়।
চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা দুই গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিষয় ছিলো ‘নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ আমি’ এবং ‘খ’ গ্রুপে ৭ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত, যাদের বিষয় ছিলো ‘মানবতার সেবায় তারুণ্য’। প্রতিযোগিতায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available