নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদী শিবপুর উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তানজিনা আক্তার নিয়মিত অফিস না করেও প্রতিমাসের হাজিরা ষোল আনা দেখিয়ে বেতনসহ অফিসের আনুষঙ্গিক সুবিধা ভোগ করছেন। এর ফলে এই দপ্তরের সেবাভোগী মানুষ এসে বারবার ফিরে যাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবন না পেয়ে।
৩০ জুন রোববার সরেজমিনে শিবপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তানজিনা আক্তারের রুমে প্রবেশ করলে দেখা যায়, কেউ নেই। তাঁর বসার চেয়ারটি ফাঁকা পড়ে আছে। অফিসের বাইরে প্রতিদিনের মতো সেবা গ্রহীতার অপেক্ষা করছেন। অথচ, তিনি অফিসে আসেননি।
এই দপ্তরের সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, মাসের ৩০ দিনের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ দিনই আমরা তাকে অফিসে পাই না। বিভিন্ন কাজ নিয়ে বারবার অফিসে আসতে হয়। কিন্তু তার সন্ধানও পাই না। টেলিফোন করলেও ঠিকমতো ফোন ধরেন না। অল্প কথায় খিটখিটে মেজাজের হয়ে উঠেন। তাই ফোনে ভয়ে তাকে কেউ কোনো সহযোগিতার কথা বলতেও সাহস পান না। অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যে বেপরোয়া এই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরটি। সরকারি নিয়ম-নীতির বালাই নেই এখানে। গরিবের নলকূপ মাসোহারায় দিচ্ছেন বিত্তশালীদের বাড়িতে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিবপুর উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তানজিনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সম্ভব হয়নি। একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে নরসিংদী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজওয়ান হোসেন বলেন, ‘সহকারী প্রকৌশলী তানজিনা আক্তার উনি নিয়মিত অফিস করছেন না। বিষয়টা আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে তাকে শোকজ করা হবে।’ অভিযুক্ত কর্মকর্তা কোনো ছুটি নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি কোনো প্রকার ছুটি নেন নি। এই সকল বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. সজিব বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তাকে প্রতিদিন অফিস করতে হবে। যেহেতু তিনি অফিস করছেন না নিয়মিত। খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available