রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত ৭ দিনে সড়কের ৮টি স্থানে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্ট দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। অটোরিক্সার ওপর গাছ পড়ে চালক ও এক যাত্রী আহত হয়। গাছ পড়ার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে গাছগুলো সরিয়ে নেন। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাউকে গাছ সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রশাসন ঝূঁকিপূর্ণ গাছগুলো দ্রুত কেটে নিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট শুক্রবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় বড় রেনট্রি গাছ পড়ে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ ছিল। একই দিন রাঙ্গুনিয়ার সীমান্ত রাউজানের তাপবিদ্যুৎ এলাকায় আরো একটি রেনট্রি গাছ ও রাঙ্গুনিয়া ঘাটচেক এলাকায় আকাশমনি গাছ পড়ে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরদিন শনিবার রাঙ্গুনিয়ার সীমান্ত রাউজানের তাপবিদ্যুৎ এলাকায় রেনট্রি গাছ চলন্ত সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ওপর পড়ে চালক এবং এক যাত্রী আহত হয়। গাছটি সরাতে দুই ঘণ্টা লেগে যায়। ৬ আগস্ট রোববার রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কাটাখালি এলাকায় সড়কের ওপর রেনট্রি গাছ পড়ে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাত ১২টার দিকে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সেলিমা কাদের চৌধুরী ফটক এলাকায় বড় আকাশমনি গাছ পড়ে ৩ ঘণ্টা যানবাহন বন্ধ ছিল। সোমবার সকালে উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের বনগ্রাম সাব-স্টেশন এলাকায় বড় শিমুল গাছ পড়ে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। বিকেলের দিকে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকায় আকাশমনি গাছ পড়ে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রতিটি ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের কর্মীরা গিয়ে গাছ কেটে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. জাহেদুর রহমান বলেন, ‘টানা বর্ষণের কারণে গাছের গোড়া থেকে মাটি সরে গাছগুলো পড়ছে। গাছের আগায় ঢালপালা বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক সময় ভারসাম্য ঠিক থাকে না। ফলে গাছ ভেঙ্গে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ এসব গাছ আগে থেকে কেটে নিলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাঙ্গুনিয়া সুপারভাইজার রাসেল দেওয়ান বলেন, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া অংশের দুই পাশে দুই হাজারের ওপর ছোট-বড় গাছ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও মরা গাছ রয়েছে অর্ধ শতাধিক। জনবল না থাকায় গাছ ভেঙ্গে পড়ার পর পরই আমরা সরাতে যেতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউল গনি ওসমানী বলেন, সড়কের ওপর গাছ পড়লে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাছাড়া গাছ পড়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই ঝূঁকিপূর্ণ গাছগুলো দ্রুত কেটে ফেলতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বশীলদের বলা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available