মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে।
মসজিদের কোন কাজ না করেই কাগজে কলমে কাজ শেষ হয়েছে মর্মে পুরো টাকা উত্তোলন করেছে ঠিকাদার। তবে মসজিদের কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের তৎকালীন কর্মকর্তার নিরব ভূমিকার কারণে এই টাকা লুটপাট হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় মুসল্লিদের।
টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মসজিদের টাকা লুটের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের অলিনগর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নে জেলা পরিষদ থেকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। লটারির মাধ্যমে কাজের ঠিকাদার নির্বাচিত হন মেহেরপুরের শরিফুল ইসলাম।
সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন বলেন, তৎকালীন সময়ে ঠিকাদার কাজ না করেই সভাপতি আব্দুল মান্নানের সহযোগিতায় বিল উত্তোলন করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। সম্প্রতি মসজিদের জেলা পরিষদের বরাদ্দের নাম ফলক লাগাতে গেলে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, স্থানীয়দের টাকায় মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়ন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের টাকা বরাদ্দ হয়েছে এটা কেউ জানে না। নাম ফলক লাগাতে আসার পর বরাদ্দের বিষয়টি জানা জানি হয়।
তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও মসজিদের এই কাজের দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের তৎকালীন কর্মকর্তা মিলে বরাদ্দের ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
স্থানীয় মুসল্লি আহসান ইসলাম টিও বলেন, জেলা পরিষদের বরাদ্দের বিষয়ে ঠিকাদার তাদের জানিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সভাপতির কাছে দিয়েছে আর ১০ হাজার টাকা কিছুদিন পরে দেবে।
ঠিকাদার শরিফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ বলে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।
অলিনগর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, ঠিকাদার তাকে কোন টাকা দেয়নি। ঠিকাদার টাকা আত্মসাৎ করে তার উপর দায় চাপাচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, অলিনগর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দের টাকার কাজ হয়েছে এই মর্মে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রত্যায়ন দিয়েছে। তবে শুনেছি ঠিকাদার ঐ মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে।
এভাবে টাকা দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা এবং বরাদ্দকৃত টাকার কাজ যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি তদারকি না করার কারণে এই অনিয়ম হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available