• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:৫৮:৩৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:৫৮:৩৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

ফরিদপুরে প্রচন্ড তাপদাহে তালশাঁসে স্বস্তি খুঁজছেন পথচারীরা

২৬ মে ২০২৪ সকাল ১১:৫১:২৬

ফরিদপুরে প্রচন্ড তাপদাহে তালশাঁসে স্বস্তি খুঁজছেন পথচারীরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুরে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তালশাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে তালের রস ও ডাব। তবে তালের রস ও ডাবের চেয়ে এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। তীব্র গরমে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করছে বলে মনে করছেন অনেকে।

সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। অনেকে ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরেও বিক্রি করছেন তালশাঁস। দিনে রোদের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তালের শাঁসের চাহিদাও। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে কঁচি তালের শাঁস। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন রসালো এ ফল।

তালশাঁস বিক্রেতা সেখ ইউনুস জানান, ‘প্রতিটি গাছ সিজন চুক্তিতে আমরা কিনে থাকি এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। তবে ফল বেশি হলে এক গাছ ২ থেকে ৩ ছাজার টাকাতেও কিনতে হয়। তালের ফলন ভালো হলে, প্রতি গাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভ হয়। তালশাঁস এখন থেকে বিক্রি শুরু করেছি যা চলবে শাঁস  শক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত। বর্তমানে শাঁসের চাহিদা বেশি। প্রতি পিস তালশাঁস ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করছি। তবে কেউ একসাথে অনেক গুলো নিলে কম নিচ্ছি।’

ক্রেতা তানজিল আহমেদ তমাল বলেন, ‘এই বছরের প্রথম তালশাঁস খেলাম। তবে আর কিছুদিন পরে এর থেকেও ভালো মানের তালশাঁস পাওয়া যাবে। তালশাঁস খেয়ে এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি মিলছে। তবে ফলটির দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তালশাঁস আমার অত্যন্ত প্রিয়। প্রায় প্রতিদিন বাজার থেকে অল্প করে কিনে থাকি।’

এই বিষয়ে কথা হয় সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম রাব্বানীর সাথে। তিনি জানান, ‘সুস্বাদু তালশাঁস একটি ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে। ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স, যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে।’

তিনি আরও জানান, ‘এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেক সময়ে অ্যাসিডিটির ফলে বমিভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। কঁচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে খাবারে অরুচি-ভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কারো অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা থেকে থাকলে তা দূর করতে খান কঁচি তালের শাঁস। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তুলতে ভূমিকা রাখে তালের শাঁস।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩