হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছলো হিলি। একদিকে ঘনকুয়াশা অন্যদিকে প্রচণ্ড শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিবাসী।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধার পর থেকে আবারও ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষেরা। কুয়াশার কারণে ট্রেন, বাস, অটোবাইক গুলোকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হেডলাইট জালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
কুয়াশার কারণে ট্রেনগুলো বিলম্বে চলাচল করছে। তাই শীত উপেক্ষা করেই যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ট্রেনের জন্য। ঠাণ্ডার কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বেশি দুর্ভোগে আছেন ছিন্নমূলসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেই তাদের ছুটতে হচ্ছে কর্মস্থলে। এদিকে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা।
হিলি সিপি রোর্ডে বসা কামার কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে আমি দুই ধরে দোকানে খুলতে পারিনি। ঠাণ্ডা বাতাস আর ঘণকুয়াশা মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে। তাই আমাদেরও কাজ কাম কমে গেছে। আজ সকালে আসার সময় কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট কিছু দেখা যাচ্ছে না। আজ সকাল থেকে ২০০ শত টাকা কাজ করছি।
হিলি চাতাল শ্রমিক আবু বক্কর বলেন, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘণকুয়াশায় আর ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে সূর্যের দেখা নেই। সোমবার ও মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মিললও তেমন তাপ নেই। আমি চাতালে কাজ করি। কিন্ত রোদ না থাকায় বসে আছি। ধানশুকাতে না পারলে আমাদেরও আয় রোজগার হয় না। ধানশুকাতে পারলে ৪ থেকে ৫ শত টাকা মজুরি পাই। রোদ না থাকায় সেই ইনকামও বন্ধ। পরিবারপরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি। আমরা দিন আনে দিন খাই।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ হিলিতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ১০০ শতাংশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available