বাকৃবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১২টি জেলা। বন্যা কবলিতদের সহায়তায় নিরলসভাবে ত্রাণ সংগ্রহের কাজ করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
২৪ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ক্যান্টিনে ত্রাণ সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও কে আর মার্কেটে চলে ত্রাণ সংগ্রহের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ আশেপাশের এলাকাবাসী তাদের সাধ্যমতো অর্থ, কাপড় এবং শুকনা খাবার দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল থেকে গণত্রাণ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় এবং আশেপাশের এলাকা থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। টিএসসি ক্যান্টিনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেটেও ত্রাণ সংগ্রহের একটি বুথ স্থাপন করা হয়।
ত্রাণ কাজে অংশ নিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর খান বলেন, শিক্ষার্থীরা সারাদিন যাবত বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। তাদের এ মহতী উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি দেশের বিত্তবান এবং অন্যান্য শ্রেণির মানুষদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান। আমরা সকলে মিলে যেন এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি এবং একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা গতকাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশেপাশের এলাকা থেকে টাকা, কাপড় ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। বাচ্চা, ছেলে এবং মেয়েদের কাপড়গুলো আলাদা আলাদাভাবে প্যাকেট করা হচ্ছে। আমরা দ্রুতই বন্যার্তদের কাছে এগুলো পৌঁছে দিবো।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইতোমধ্যেই বাকৃবির একটি উদ্ধারকারী দল শুকনা খাবার, পানি ও কাপড়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়েছেন। তারা এখন ফেনীতে অবস্থান করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আশেপাশের এলাকার মানুষজনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা আগামীকালের মধ্যেই এই ত্রাণসামগ্রী বন্যার্তদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।
জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিনে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মুহুরী, কহুয়া, গোমতী এবং সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দেশে ১২ জেলায় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৩৬ লক্ষ মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। মহাসড়ক এবং রেল লাইন প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available