বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ধর্ষক রবিউল্লার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের আয়োজনে মানববন্ধনে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ধর্ষক রবিউল্লাহ ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনায় সোমবার রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় ঐ শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম, সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহীন কাদির, সিনিয়র শিক্ষক দারুস সালাম, আব্দুল করিম, মো. মহিউদ্দিন সরকার, আব্দুর রসিদ, বোরহান, জসিম উদ্দিন, মিহির আহমেদ, নজরুল ইসলাম, মাইনউদ্দিন আহমেদ, ইসলাম, হনুফা বেগম, শিল্পী আক্তার, আশরাফি আক্তার, পলী চৌধুরী ও বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের মতো স্কুলের পাশে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল সাতটার দিকে স্কুলের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা বখাটে রবিউল তার গলায় ছুরি ধরে স্কুলের পাশে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও ছুরিসহ ছেলেটিকে আটক করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ছুরিসহ ছেলেটিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মীম আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ছুরির ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে লম্পট রবিউল। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যেন আর কারো সাথে না ঘটে।
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সূচনা আক্তার বলেন, আমাদের সপ্তম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থীকে রবিউল্লাহ নামক এলাকার এক বখাটে ছুরির ভয় দেখিয়ে দর্শন করেছে। আমরা এর বিচার চাই সরকার যেন তাকে ফাঁসি দেয়। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জোর দাবি কুলাঙ্গার রবিউল্লার যেন ফাঁসি হয়।
শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে আসার পথে এক বখাটে তাকে গলায় ছুরি ধরে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকারে লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং বখাটেকে আটক করে। আমি এর কঠোর শাস্তি দাবি করছি। যেন এই ধরনের অপরাধ আর কখনও কেউ করতে সাহস না হয়।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক সুজন চন্দ্র পাল বলেন, বাঞ্ছারামপুর থানা দিন শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ধর্ষিত হয়েছে বলে আপনারা জানেন। ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। এজাহারের ভিত্তিতে নারী ও শিশু দমন আইনের (৯/১ ) ধারা মোতাবেক একটি মামলা রুজু করি। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষ করে আদালতে পরিস্থিতি দাখিল করবো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available