• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:৫৬:১৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:৫৬:১৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জাতীয়

অবশেষে ডিএনএ টেস্টে পরিচয় শনাক্ত হয়েছে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতির

১১ মার্চ ২০২৪ সকাল ০৭:৪৮:৫৬

অবশেষে ডিএনএ টেস্টে পরিচয় শনাক্ত হয়েছে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতির

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত নারী সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ।

১০ মার্চ রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুনসহ ৪৬ জন। অপ্রত্যাশিত এক ঘটনায় আটকে যায় বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর।

বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি রমনা কালী মন্দিরেও যাতায়াত করতেন, অংশ নিতেন পূজা-অর্চনাতেও। মন্দির সংশ্লিষ্টদের কাছে নিজের পরিচয় দিতেন, তিনি বাংলাদেশি নন, ভারতের বেনারসের এক হিন্দু পরিবারের মেয়ে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর দাদুর সাথে বাংলাদেশে চলে আসেন। দাদু মারা যাওয়ার পর কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি পরিবারে দত্তক সন্তান হিসেবে বেড়ে উঠেন। এ কারণেই রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা তাকে হিন্দু হিসেবে দাবি করে অভিশ্রুতির মরদেহ সৎকারের জন্য মন্দির কমিটির কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।

অপরদিকে অভিশ্রুতিকে নিজের মেয়ে বৃষ্টি খাতুন দাবি করে মরদেহ নিতে আসেন তার বাবা কুষ্টিয়ার সবুজ শেখ। তিনি জানান, বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। এ অবস্থায় মন্দির কমিটির সভাপতি লিখিত আবেদন করেন, বাবা সবুজ শেখ ও মা বিউটি খাতুনের সন্তান কিনা ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যেন তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা না হয়।

অবশেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাবা সবুজ শেখ ও মা বিউটি খাতুনের সাথে বৃষ্টি খাতুন (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) এর ডিএনএ টেস্টের ফলাফল পাওয়া গেল মৃত্যুর ১১ দিন পর। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।

ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। ৯ মার্চ শনিবার তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে তার ডিএনএ মিলেছে।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবেন।

মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনও আমাদের কোনও কিছু জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয়, তবে অবশ্যই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ নেওয়ার জন্য এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা অপেক্ষায় আছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই আগুনের ঘটনায় শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩