হানিফ মেহমুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ৬নং বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ মাটি উত্তোলনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০ জানুয়ারি সোমবার এ নির্দেশ দেন সদর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলাম। অপরাধসমূহের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র্যাবকে। আগামী ১০ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আদেশে।
সংবাদটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অপরিকল্পিতভাবে মাটি তোলার মহোৎসব চলছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। স্থানীয়রা বলেছেন, বাঁধ থেকে মাত্র দেড়শ মিটার দূরে তোলা হচ্ছে মাটি-বালু। এ জন্য হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
ওই বর্ণনা অনুসারে স্থানীয় জনগণের কথা চিন্তা করে ও নদী সংলগ্ন বাঁধের নিরাপত্তার কথা ভেবে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ১৯০(১) (সি) বিধান অনুসারে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আমলে নেন।
এভাবে অবৈধ ভাবে মাটি-বালু উত্তোলন বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৪ ও ৫ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং একই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বৎসরের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড। এছাড়াও চরের কৃষি জমি নষ্ট করে বালু পরিবহনের রাস্তা বানানোর ফলে দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রতীয়মান হয়, যার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, অপরাধটি কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ করা প্রয়োজন এবং তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা প্রয়োজন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আসামিদের শনাক্তকরণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুত করবেন এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করবেন। এছাড়াও অবৈধ মাটি উত্তোলন করতে গিয়ে আরো কোনো আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকলে তাও তদন্তের মাধ্যমে নিরূপণ করবেন।
সার্বিক বিবেচনায় উক্ত অপরাধসমূহ তদন্ত করার জন্য কমান্ডিং অফিসার, সিপিসি-১, র্যাব ক্যাম্প চাঁপাইনবাবগঞ্জ, র্যাব-৫, রাজশাহীকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available