জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ায় পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ৯টি বিয়ে করেছেন নাজমুল হক (৩০) নামের এক ব্যক্তি। নিজ জেলায় ৫টি এবং বগুড়ার মোকামতলা এলাকায় আরও ৪টি বিয়ে করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার বগুড়ার শিবগঞ্জের ভরিয়া গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে আটক হন তিনি। মোবাইলে পুলিশের পোষাক পড়া ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতিও দেখাতেন অনেককে।
পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দেওয়া নাজমুলের বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামে। তিনি ঐ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আশিক ইকবাল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ জানায়, শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে নাজমুল হক নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান। এতে সন্দেহ হলে বাসা ফাঁকা নাই বলে তাকে জানিয়ে দেন ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ। পুলিশ পরিচয় দেয়া নাজমুল মঞ্জু শেখের ফোন নাম্বার নিয়ে চলে যান। এরপর বিকেলে ফোন করে মন্জু শেখের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার চান। এতে মঞ্জু শেখের সন্দেহ হলে বিষয়টি মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে নাজমুল হক নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে মোকামতলা এলাকায় ইতোপূর্বে ৪টি বিয়ে করেছে। বিয়ের পর কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করেছিলো। এছাড়াও পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন জনের কাছে তদবিরের নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। সোমবার রাতে কৌশলে পুলিশ তাকে আটক করে।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল জানান, নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পড়া একাধিক ছবি উদ্ধার করা হয়। এই ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করতেন এবং ভয়ভীতিও দেখাতেন।
তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাজমুল হক পুলিশের এসআই পরিচয়ে তার এলাকাতেও আরও পাঁচটি বিয়ে করেছে। এছাড়া মোকামতলা এলাকায় ৪ টি বিয়ে করেছে। তাকে আটকের পর ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available