• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:৩০:২৮ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:৩০:২৮ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

মেডিক্যালে ভর্তির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সৈয়দপুর 'বিটস' কোচিংয়ের পরিচালক হাপ্পু গ্রেফতার

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল ১০:৩২:৪৭

মেডিক্যালে ভর্তির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সৈয়দপুর 'বিটস' কোচিংয়ের পরিচালক হাপ্পু গ্রেফতার

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সৈয়দপুর মেডিকেল কোচিং সেন্টার বিটস’র পরিচালক আব্দুল হাফিজ ওরফে হাপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার আব্দুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের একটি বাংলো দখল করে সেখানে বিটস নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করেন। ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক তিনি। এ ছাড়াও তিনি সেবা নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিক।

পূর্বে গ্রেফতার হওয়া আসামি ডা. জিল্লুর হাসান রনির মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনৈতিক উপায়ে মেডিক্যালে ভর্তি করান। ইতোমধ্যে প্রশ্ন পেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া তাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে সিআইডি।

জানা যায়, এর আগে গ্রেফতার হওয়া ডা. সোহানুর রহমান সোহান বিটস কোচিং সেন্টারের পরিচালক আব্দুল হাফিজ ওরফে হাপ্পুর কাছ থেকে ২০১৩ সালে প্রশ্ন পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা হিসেবে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন।

গত ১১ ডিসেম্বর সোমবার থেকে বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন চিকিৎসকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিটস কোচিংয়ের পরিচালক আব্দুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু। ডা. ফয়সাল আহমেদ রাসেল, মো. রায়হানুল ইসলাম সোহান, বকুল রায় শ্রাবণ, ডা. মো. সোহানুর রহমান সোহান, ডা. তৌফিকুল হাসান রকি, ডা. ফয়সাল আলম বাদশা এবং ডা. ইবরার আলম।

সিআইডি জানায়, গ্রেফতার সবাই মেডিক্যাল প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে। তাদের কাছ থেকে চক্রের অন্যান্য সদস্য ও অসাধু উপায়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার ডা. তৌফিকুল ইসলাম রকি আগে গ্রেফতার ডা. জিল্লুর হাসান রনির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিলেন। তারা দুজনই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছেন। রকি বিটস কোচিংয়েও ক্লাস নিতেন। রকি, হাপ্পু ও রনি মিলে অনৈতিক উপায়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যালে ভর্তি করান বলে জানান সিআইডি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ