ইমরান সিদ্দিকী প্রান্তর: ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলে যাওয়া কথাটি যেন একবিংশ শতাব্দীর মর্মবাণী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের উপর নির্মম অত্যাচার, হত্যা, কৃত্রিম খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে ইসরাইল প্রমাণ করেছে তারা কতটা নির্মম।
আর তাদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে তথাকথিত বিশ্বমোড়ল একচোখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা৷ মানবাধিকার রক্ষার নামে গলাবাজি করা দেশটি সমর্থন করছে ফিলিস্তিনের হাসপাতালে হামলা, শিশুহত্যা, শরণার্থীদের উপর হামলা, এমনকি জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক দলের উপর হামলা-হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এই নির্মম বাস্তবতায় ফিলিস্তিনের পক্ষে বহির্বিশ্বের ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।
গত ৬ মে সোমবার একইসাথে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেছে দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ জেলা ও মহানগরের প্রায় ৫ কোটি শিক্ষার্থী ও তরুণ ছাত্রসমাজ। একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্ত পদযাত্রায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আরও কঠোর আন্দোলন সংগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশের সংবিধানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক ২৫ নং অনুচ্ছেদই বলে দেয়, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ। বৈশ্বিক শান্তির দূত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও সেদিকে লক্ষ্য করে বারবার বঙ্গবন্ধুর গড়ে যাওয়া ৭২ এর সংবিধানের কথা মনে করিয়েছেন। “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।”
আমরা ছাত্রলীগের কর্মী, আমরা মুজিব সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। বিশ্বের যে প্রান্তেরই শোষিত জনগোষ্ঠী হোক না কেন! আমরা সর্বদা শোষিতের পক্ষে। আমারা বলতে চাই, ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে তা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধ। আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো আন্তর্জাতিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। সেটি না করে যুদ্ধকে উস্কে দিয়ে একদল অস্ত্র ব্যবসা, তেল ব্যবসা করছে, যা সত্যিই নিন্দনীয় এবং ভবিষ্যতে আজকের এই সময় ঘৃণিত অতীত হয়ে থাকবে, মদদদাতাদের জন্য।
শুধু মদদদাতা নয়, বাংলাদেশেও কিছু মেরুদণ্ডহীন রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন রয়েছে, যারা তাদের বিদেশি প্রভুর ভয়ে, নিজেদের স্বার্থে নিশ্চুপ রয়েছে। কথায় বলে, মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। তারা ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞকেই সমর্থন জানিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পরিশেষে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে চলমান বৈশ্বিক ছাত্র আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতে সকল আন্দোলন সংগ্রামে ফিলিস্তিনের পক্ষে রাজপথে সরব থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
লেখক: ১নং সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available