• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:০৮:২৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:০৮:২৭ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

রাস্তা পারাপারে প্রাণ হারাচ্ছে মধুপুর বনের বন্যপ্রাণী

১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬:১০

রাস্তা পারাপারে প্রাণ হারাচ্ছে মধুপুর বনের বন্যপ্রাণী

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: বন্যপ্রাণী হত্যা করা ও আহত করা দন্ডনীয় অপরাধ। সাবধানে গাড়ি চালান, বন্যপ্রাণীর অবাধ চলাচল নিশ্চিত করুন। নির্দেশক্রমে টাঙ্গাইল বনবিভাগ। জনসাধারণ, পথচারী, গাড়ি চালকসহ সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করে এমন একটি সচেতনতা বিষয়ক সাইনবোর্ড সাঁটানো রয়েছে টাঙ্গাইল বন বিভাগের জাতীয় উদ্যানের মূল ফটকের বাম পাশসহ বনের বিভিন্ন স্থানে। যা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ ও গাড়ি চালকদের দিব্যি চোখে পড়ার মতো। এর পরও মাঝে মধ্যে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে মধুপুর বনের বানর, হনুমান। আহতও হচ্ছে এসব প্রাণী। গাড়ির হর্ন আর শব্দ দূষণে তটস্থ হচ্ছে প্রাণীরা। ব্যাহত হচ্ছে তাদের নির্বিঘ্নে চলাচল আর বসবাস। বন্যপ্রাণীদের অবাধে চলাচল নিশ্চিতকরণের জন্য বন্যপ্রাণী আইন মেনে চলা ও সচেতনতা বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।

জানা যায়, দেশের তৃতীয় বৃহত্তর বনাঞ্চল মধুপুর শালবন। ইতিহাসখ্যাত এ শালবন নানা ঐতিহ্যের কারণে বিখ্যাত। শালবৃক্ষ নানা বৈচিত্র্যময় গুল্মলতা, ভেষজ উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী, পাখি, ভূ-বৈচিত্র্য, প্রকৃতি, পরিবেশ, মাটিসহ সমতল এলাকার এ বনের ঐতিহ্য পরিচিত দেশজুড়ে। দেশের বাইরেও রয়েছে এ বনের পরিচিতি। 

আশির দশক থেকে বন সংকুচিত হওয়ায় বন্য পশুপাখিও কমে যাচ্ছে। কালোমুখ হনুমান ও বানর এখনও অনেক রয়েছে। এছাড়াও কাঠবিড়ালি, গুইসাপ, বেজি, শিয়াল, বন মোরগসহ বিভিন্ন ছোট বড় পশুপাখি চোখে পড়ে। তবে বানরের পরিমাণ অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে একটু বেশি। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রসুলপুর থেকে শুরু করে ২৫ মাইল পর্যন্ত বনের মাঝখান দিয়ে ছুটে চলা রাস্তার পাশে বিভিন্ন স্থানে দলগতভাবে বানর চলাচল করে। দলগতভাবে খাদ্যের সন্ধানে রাস্তা পারাপার হয়ে থাকে। এজন্য বন্যপ্রাণীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে জনসাধারণ, গাড়ি চালকসহ সকলের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য বনের রাস্তাঘাটের দর্শনীয় স্থানে এমন সাইন বোর্ড টানিয়ে দিয়েছে বন বিভাগ। এমন সর্তকীকরণ সাইন বোর্ডও কাজে আসছে না। মানছে না ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোবাইক, ট্রাক ও বাসের চালকরা। আইন না মানায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে, আহত হচ্ছে বন্যপ্রাণী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপর একটি বানর গাড়ির নিচে পিষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পথচারীরা জানালেন, একটু আগে গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে বানরটি মারা গেছে। চারপাশে বানরের দল এসে দাঁড়িয়ে আছে। বানররা চিকচিক খেক খেক শব্দে আহাজারি করছে। চারদিকে থেকে বানরের দল নিহত বানরটির নিকট আসার চেষ্টা করেও আসতে পারছে না। অবিরাম যান চলাচল করার কারণে। দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন জানালেন, মাঝে মধ্যেই বেপরোয়া গতির গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে এভাবেই প্রাণ হারায় বন্যপ্রাণীরা।

এমন দিব্যি সাইন বোর্ডেও কমছে না বন্য পশুপাখির প্রাণহানি। সাধারণ মানুষ মনে করছে, যথাযথ আইন প্রয়োগ করে মধুপুর বনের বন্যপ্রাণী রক্ষা জরুরি। তানাহলে এভাবে মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকলে কমতে থাকবে প্রাণীকুল। পরিবেশ হারাবে ভারসাম্য। বিপন্ন হবে প্রকৃতি।

পরিবেশ রক্ষা সোসাইটির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি লিয়াকত হোসেন জনি জানান, বন্যপ্রানীরা খাদ্যের সন্ধানে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে অনেক সময় বেপরোয়া গতির গাড়ির চাপায় প্রাণ হারায়। বন্যপ্রাণীদের প্রতি চালকদের সদয় হওয়া প্রয়োজন। যথাযথ আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতার মধ্যে দিয়ে এটা রোধ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র জানান, জীববৈচিত্র্য এবং বন্যপ্রাণী আইনে বন্যপ্রাণী রক্ষার ক্ষেত্রে আইন মানা সকল নাগরিকের দায়িত্ব। বন্যপ্রাণী আহত বা নিহত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেবে। যানবাহন বনের ভিতর চলাচলের ক্ষেত্রে আইন মেনে চলতে হবে। আইনের অমান্য করলে বিধি মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধে দন্ডিত হবে বলে তিনি মনে করেন ।

মধুপুর জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সেদিন বানর নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বনের ভেতরে সড়কে অনেক সময় বানরের দল চলাচল করে, খেলা করে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচলের কারণে বন্যপ্রাণীরা নিরাপদ দুরত্বে থাকতে পারে না। ফলে প্রাণ হারায়।

তিনি জানান, বনের ভেতরে চলাচলের সময় গাড়ির গতিসীমা কমিয়ে গাড়ি চলাচল করা উচিত। আইন মেনে চললে বন্যপ্রাণীরা নির্বিঘ্নে নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩