বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই?’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিনি সম্মেলন কক্ষে এই সংলাপের আয়োজন করে ‘জুলাই স্মৃতি পরিষদ’- নামে আত্মপ্রকাশ করা নতুন একটি সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি। সংলাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও তা পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সংলাপের মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো- একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া উচিত, তা পরিচালনার মূলনীতিগুলো কী হওয়া উচিত এবং বাকৃবি বর্তমানে এসব মূলনীতির কতটুকু মান্য করছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটসমূহ এবং তার সমাধান নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।
সংলাপে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক উম্মে ফারহানা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
সংলাপে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক উম্মে ফারহানা বলেন, আমরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আসবে। শুধু একটি চাকরির আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ অপচয় করা অনুচিত। শিক্ষকদের শিক্ষাদানে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বস্তুগত প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেধাতালিকাই নয়, বিশেষ গুণাবলীও বিবেচনায় আনা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গঠনমূলক সমালোচনার স্থান, যেখানে সমালোচকের পাশে বসেই আলোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি মূল স্তম্ভ হলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারের কর্তৃত্ব থাকুক, কারণ এটি লেজুরবৃত্তি সৃষ্টি করে। গবেষণা এবং কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। শিক্ষকদের নিয়োগে সততা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
সংলাপ শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় ‘জুলাই স্মৃতি পরিষদ’ -নামে একটি নতুন সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। জায়াদ হাসান ওয়ালিদকে আহ্বায়ক এবং পুষ্পিতা ভট্টাচার্যকে সদস্য সচিব করে মোট ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available