তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত অটোরিকশা চালক মো. আমির হোসেনের (২৮) মরদেহ দাফনের ৩ মাস ১৫ দিন পরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
৩ নভেম্বর রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার রামপরা একরামুন নেছা ডিগ্রি কলেজ এলাকার উলান সড়কে জুম্মা নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ওই দিন রাতেই মরদেহ বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার মৌপাড়া গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় পরিস্থিতি বিবেচনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এরপর ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী আন্নী।
পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মাসুদ রানা বলেন, নিহতের স্ত্রীর আদালতে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ ময়না তদন্তের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করে বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available