জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাছ ব্যবসায়ী রাসেল সর্দার নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। এরআগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় একটি সেলুনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল সর্দার (৩৫) উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের এরিকাঠি গ্রামের ইচাহাক সরদারের ছেলে। তিনি একজন সফল মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের সঙ্গে একই এলাকার রাসেল সরদারের সঙ্গে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরে রাসেল সর্দার ইসলামপুর ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় সেলুনে চুল দাড়ি কাটাতে যায়। এসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের নেতৃত্বে সাইফুল মাদবরসহ ১০/১২ জন হঠাৎ করে রাসেল সরদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালে রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ইসলামপুর এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত রাসেল সরদারের বড় ভাই ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ওয়াসিম সর্দার বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের আগে আমার ভাই ইসলামপুর ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় চুলদাড়ি কাটতে যায়। তখন পূর্ব পরিকল্পনা করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের নেতৃত্বে তাঁর ভাতিজা সাইফুল মাদবর, এলাকার সন্ত্রাসী বাচ্চু ফকির, মনির ফকির, পারভেজ ফকির, আবু ঢালি, লিটন মাদবরসহ ১০/১২ জন আমার ভাইকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে থাকে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। আমার ভাইকে সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছি।
এঘটনায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা জানি একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রাসেল নামের একজন ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আমরা এজাহার পেলে মামলা নিয়ে নেব। আমাদের যেটা মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে প্রতিপক্ষের পূর্বের দ্বন্দ্ব ছিল, এ কারণেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available