শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভবন থাকলেও কোনো কার্যক্রম নেই। নামে মাত্র লোকবল দেখিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে একটি ভবন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের প্রায় ছয় বছরেও শাল্লা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ভবন হস্তান্তর করা হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও গণপূর্ত অধিদফতরের রসি টানাটানিতে আটকে আছে উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সকল কার্যক্রম। সরকারি লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে নানান সমস্যায় ভুগছে হাজারো ব্যবসায়ী ও জনগণ। উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষার যেন শেষ হচ্ছে না আর।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করেই ২০১৮ সালে ১ নভেম্বর উদ্ধোধন করা হয় শাল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন।
এখনও বিল্ডিং বুঝিয়ে দেয়নি বিধায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গণপূর্ত অফিসের দাবি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেয়ার পরও ভবন হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। অপ্রসস্ত রাস্তা বিভিন্ন জটিলতার কারণে তারাই নানা ধরণের অজুহাতে ভবন গ্রহণ করেন না।
গণপূর্ত অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিসের রসি টানাটানি বন্ধ করে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের সকল কার্যক্রম চালু করা হবে এমনটাই দাবি শাল্লা উপজেলাবাসীর।
শাল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জয়ন্ত সিংহ বলেন, ভবনের দেখাশোনায় আমরা দুজন দায়িত্বে রয়েছি। তবে অফিসে কোনো যন্ত্রপাতি না থাকায় আগুন নেভানোর জন্য কোনো সহায়তা করা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া আমরা কিছু বলতে পারব না।
ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর সরকার পান্না জানান, মঙ্গলবার সকালে মৎস্য বাজারের রোডে একটি মিষ্টির দোকান ও রেস্টুরেন্টের কারখানায় প্রথমে আগুনে স্বর্বস্বান্ত হয়েছে আরও অনেক ব্যবসায়ী। মূহুর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় একটি কসমেটিকস দোকানসহ ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম থাকলে এসব ক্ষতি হত না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. তারেক ভূঁইয়া জানান, গণপূর্ত অফিস ভবনের কিছু কাজ সম্পন্ন করেনি। এমনকি আমাদের কাছে হস্তান্তরও করেনি। তাদের সাথে কথা বলেছি কাজ সম্পন্ন করলেই আমরা ভবনটি গ্রহণ করে কার্যক্রম চালাবো।
সুনামগঞ্জ গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান হীরা বলেন, আমরা বারবার ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি ভবন হস্তান্তরের জন্য। অপ্রসস্ত রাস্তা বিভিন্ন জটিলতার কারণে তারাই নানা ধরনের অজুহাতে ভবন গ্রহণ করছেন না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available