বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার বেতাগীতে মোকামিয়া ইউনিয়নের মাছুয়াখালী বাজার এলাকায় সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে ভবনের মালিকের দাবি, তার জায়গার মধ্যেই তিনি নিয়ম মেনে অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গেল কয়েক দিন ধরে খালে জমির একাংশ দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে আরসিসি ভিত দিয়ে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেন নাইম মাহামুদ রিয়াজ নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা ভূমি অফিস থেকে বাধা দেওয়া হলেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সোবাহান সিকদার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, খালে পাকা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করা না হলে আগামীতে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হবে এবং কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাল দখল করে ভবনটির কাজ চলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাছুয়াখালী বাজারের এক বাসিন্দা বলেন, 'আগে টিনের ঘর ছিল, এখন পাকা দালান হচ্ছে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নাইম মাহামুদ রিয়াজ বলেন, 'আমার জায়গায় আমি ভবন নির্মাণের কাজ করছি। তবুও প্রশাসন আমার জমির মধ্যে তিন ফুট জায়গা বেশি রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছি। সবাই বিষয়টা জানেন। ওই খালেই অনেকের ২০ ফুট জমি ভোগদখলে রয়েছেন। তা কেউ দেখছেন না।' বেতাগী ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রিয়াজ হোসেন জানান, 'সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণে বাধা দেওয়ার পরও ওই ব্যক্তি ভবন নির্মাণ চালিয়ে আসছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছে।'
বেতাগী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নাইম মাহামুদ রিয়াজকে অবৈধ স্থাপনার অংশ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। না করলে শিগগির অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available