কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেয়াসহ নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অর্ধশতাধিক সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
৪ আগস্ট রোববার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটার চর এলাকায় গত ২১ জুলাই কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে ইস্পাহানি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াজ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও গণ অসহযোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আটি ভাওয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বাধা দেয়।
বাধা উপেক্ষা করে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে সামনে অগ্রসর হলে বড় মনোহরিয়া চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্রদের মিছিলের ওপর পেছন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে। এতে মুহূর্তেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ছাত্র ভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তারা সংঘটিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে নেতাকর্মীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে বিভিন্ন দোকানপাটের ভেতরে আশ্রয় নেয়।
এ সময় মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু সিদ্দিক ও তারানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক অবরুদ্ধ হন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছয়টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এছাড়া এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে গেছে। তবে কোন হতাহত ও কি পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available