মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শিক্ষা সনদ ও বয়স জালিয়াতি করে চাকুরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. তারা মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার তিল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম নৈশ প্রহরী পদে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে ২০ মার্চ তদন্ত করে এমন জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সায়েদুল ইসলাম নামের স্থানীয় শুশীল সমাজের এক প্রতিনিধি।
গঠিত ওই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিমু চৌধুরী, মো. সুজন আলম। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়ে তদন্তে ৩ এপ্রিল তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। অভিযুক্ত তারা মিয়া সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী এলাকার ফাইজুদ্দিনের ছেলে । অভিযোগকারী সায়েদুল ইসলাম একই এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশ প্রহরী মো. তারা মিয়া কোন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি। অথচ ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার ভালুম আতাউর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি জাল অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদ দাখিল করেছেন। এছাড়া তার জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ অনুযায়ী চাকুরি নেওয়ার সময় তার বয়স ছিলো ৪৫ বছর। নিয়োগ সার্কুলার অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত ছিলো ১৮ থেকে ৩০ বছর। সে অনুযায়ী বয়স জালিয়াতি করেছেন ১৫ বছর। ভোটার আইডি কার্ড থাকা সত্বেও বয়স কমিয়ে একটি জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে দাখিল করেছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে তারা মিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রে অনুলীপিতে উল্লেখ রয়েছে শিক্ষাগতযোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি। এ বিষয়ে তিল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলে তিনি পত্রের মাধ্যমে জানান তার দপ্তরে তারা মিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত কোন নথি না থাকায় তথ্য প্রদান করা গেলো না। এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়েও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া তারা মিয়ার দাখিলকৃত শিক্ষা সনদ যাচাই করতে ভালুম আতাউর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগাযোগ করা হলে তার লেখাপড়ার বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী সায়েদুল ইসলাম জানান, তিল্লী সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশ প্রহরী মো. তারা মিয়ার চাকুরি নেওয়ার সময় তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন এমন কথা অনেকদিন ধরেই এলাকায় কানাকানি হচ্ছে। তাই এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে তদন্ত করে এমন জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার জানান, তারা মিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত তারা মিয়ার সাথে এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available