• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১০:০২:২৪ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১০:০২:২৪ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৪:১৪:১৩

ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুর পীরগাছা উপজেলার  ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস। অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া কোন কাজ সেখানে সম্ভব নয়। এ অফিসে অনিয়মে যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। যেখানে ১৮৬ টাকার সরকারি কাজের জন্য গুনতে হয় ৫হাজার টাকা, ১১ হাজার টাকার সরকারি কাজের জন্য গুনতে হয় ৬০ হাজার টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের আব্দুল মোত্তালেব মিয়া ছাওলা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে এসেছিলেন জমির খাজনা দিতে। সেখানে দেখা হয়, ভুমি অফিসের অফিস সহকারী মো. খয়বর হোসেনের সঙ্গে। জমি বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় মোত্তালেবকে ৫ হজার টাকা খাজনা দেয়ার কথা বলেন তহসীলদার মুকুল হোসেন। তহসীলদারের কথা অনুযায়ী তাকে ৫ হাজার টাকা জমা দিলে তিনি ১৮৬ টাকার রশিদ প্রদান করেন। পড়ালেখা না জানা মোত্তালেব হোসেন রশিদটি তাহার স্থানীয় শিক্ষিতজনদের দেখালে তারা জানান, তাকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মোত্তালেব আবারও ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে মোত্তালেবকে চেনে না এবং তার সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি বলে জানান তহসীলদার মুকুল হোসেন।

অন্য দিকে সেবা নিতে ছাওলা ইউনিয়নের জিগাবাড়ির বাসিন্ধা বাবলু ও সোবাহান এসেছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা দিতে। জমিজমার বিষয়ে কোন ধরনের জানা না থাকায় স্বরনাপন্ন হয় ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী তাদের নিকটতম আত্মীয় খয়বার হোসেনের কাছে। খয়বার হোসেন তাদের জমির সব কাজ করে দেওয়ার কথা বলে খাজনার জন্য দুই ধাপে গ্রহণ করে ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু সরকারী কোষাগারে ৩ হাজার ৪০০ টাকা জমার রিসিপ দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পরবর্তিতে তাকে মোট ১১ হাজার টাকার রিসিপ প্রদান করে। ভুক্তভোগী বাকি ৩৯ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কোন ধরনের সদুত্তর দিতে পাড়েননি অফিস কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিকদেরকে হঠাৎ করে দেখলে ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মোতালেব, বাবলু, সোবাহানের মতো আরও অনেকেই ছুটে আসে ভূমি অফিস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে।

অভিযোগের বিষয়টি তহসীলদার মুকুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, কাগজপাতি তোলার জন্য অনেক সময় ডিসি অফিস পর্যন্ত যাইতে হয়। সেখান খরচ লাগে, তাই তারা বাড়তি টাকা নেয় বলে জানান। ৬০ হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও কোন খাতে জমা হইছে, তার সঠিক উত্তর দিতে পাড়ে নাই তহসীলদার মুকুল হোসেন ও অফিস সহকারী খয়বর হোসেন।

এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, আমাদের কাছে ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। তাহলে আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ