মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভেজাল ও অনুমোদনহীন মাঠায় বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। এগুলোতে বিএসটিআইয়ের নকল সিল ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় এসব মাঠা। এ মাঠা পান করে পবিত্র রমজানে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন রোজাদাররা।
এ মাঠা পান করে অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার ছেংগারচর বাজার, দশানী লঞ্চঘাট, মোহনপুর বেড়ীবাঁধ, নতুন বাজার, আমিরাবাদ বাজার, সাহেব বাজার, কালিপুর বাজার ও কালির বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের এসব ভেজাল মাঠা উৎপাদন করা হচ্ছে।
কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী লঞ্চ ঘাট ও পৌরসভার ছেংগারচর বাজারের আশেপাশে বাসা-বাড়িতে কারখানা গড়ে তুলে ভেজাল মাঠা তৈরি হয়। পরে ভেজাল মাঠা বিভিন্ন দোকান, পাড়া-মহল্লা ও রাস্তার মোড়ে বিক্রি করা হয়। মাঠার বোতলের গায়ে কোনো লেভেল নেই, নেই কোনো উৎপাদন ও মেয়াদাত্তীর্ণের তারিখ।
ছেংগারচর বাজারের থানা রোড চৌরাস্তা, কলেজের মোড়, নতুন বাজারের ফল পট্টি, কালির বাজার চৌরাস্তা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ১ লিটার ১২০ টাকা, ৫০০ মিলি ৬০ টাকা ও ২৫০ মিলি ৩০ টাকায় বিক্রয় করা হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, নিম্নমানের মাঠা পান করলে বদহজম, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর হোসেন রুবেল বলেন, মেয়াদ ও লেভেল ছাড়া মাঠা বিক্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। মতলব উত্তরের কয়েকটি স্থানে বাড়িতে বাড়িতে মাঠা তৈরি করে বিক্রয় করা হয়। বাড়িগুলো নির্দিষ্ট করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available