মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে গরু, মহিষ ও ছাগলের মাংসের দাম। প্রতিকেজি মহিষের মাংস ৮০০ টাকা আর গরুর মাংস ৭'শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খাসির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
স্থানীয় ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তদারকি না থাকার সুযোগে মাংসের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
মাংস ক্রেতারা জানান, বাড়তি চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে মহিষ ও গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। যেভাবে গরু ও মহিষের মাংসের দাম বাড়ছে তাতে অনেক পরিবারের পক্ষে মাংস কিনে খাওয়া সম্ভব হবে না। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছে, বেশি দামে গরু, মহিষ ও ছাগল কিনতে হচ্ছে তাই মাংসের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
মাংস ক্রয় করতে আসা পলক বলেন, মাংসের দাম শুনে চোখ যেন কপালে উঠছে। তারপরেও কিনলাম। সব বাবাই চায় ছেলেমেয়েদের ভালো কিছু খাওয়াতে। আমিও সেই চেষ্টা করি। গরুর মাংস কিনে আনলাম ৭'শ ৫০ টাকা কেজি।
মোহাম্মদ আবু বক্কর বলেন, গরুর মাংস কিনলাম, প্রতি কেজি ৭'শ ৫০ টাকা করে। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসলে কিছু তো করার নেই। বর্তমানে শখ করে আর কেউ গরু, মহিষ ও ছাগলের মাংস কিনে খাচ্ছে না। আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসলে হয়তো যতটা সম্ভব কিনতে হয়।
মিয়াজান আলী বলেন, বাজারে মহিষের মাংস বিক্রয় হচ্ছে ৮০০ টাকা আর গরুর ৭'শ ৫০ টাকা। এভাবে মাংসের দাম বাড়তে থাকলে গরিবদের কিনে খাওয়া সম্ভব না।
মাংস ব্যবসায়ী হযরত বলেন, আমাদের বেশি দামে গরু-মহিষ কিনতে হচ্ছে। তাই মাংসের দামও বেশি।
আরেক মাংস ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, প্রতিটা জিনিসেরই দাম বাড়ছে, আমাদের কিছুই করার নেই। ছাগলের মাংস বিক্রয় হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজি। ছাগলের দাম কমলে মাংসের দামও কমে যাবে।
এছাড়া গাংনীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রয় হচ্ছে কেজিপ্রতি ২শ’ ২০ টাকা, সোনালি ৩শ’ ৫০ টাকা, লেয়ার ৩ ‘ ৫০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রয় হচ্ছে ৬শ’ থেকে ৬শ’ ৫০ টাকা কেজি দরে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাংসের দাম বৃদ্ধি করে থাকে। আমরা বাজার মনিটর করছি। প্রয়োজনে বাজারে অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available