মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীর বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের মারধর, সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও স্কুলে সময় মত না আসাসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন।
এর আগে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী দীপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুনের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা তার কার্যালয় থেকে উঠে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সভাকক্ষে বসিয়ে নাস্তা করান, তাদের নানা অভিযোগের কথা শোনেন এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
পরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সন্ধানী স্কুলের একটি বাস যোগে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেন।
৫শ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরী, সাবিহা খাতুন ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিয়া খাতুন বলেন, বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকা বেশ কিছুদিন যাবৎ শিক্ষার্থীদের মারধর ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এছাড়া সময় মত স্কুলে আসে না, এসব অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার কাছে দিলেও কোন কাজ হয়নি।
৫শ শ্রেণির শিক্ষার্থী দোয়া মনি বলেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা স্যার আমাদের সাথে সুন্দর করে কথা বলেছেন এবং অভিযোগ শুনেছেন। অভিযোগ করতে আসা সকল শিক্ষার্থীদের নাস্তা করিয়েছেন। এছাড়া স্যার আমাদের বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বাস ম্যানেজ করেছেন এবং আমাদের সাথে বাসে চড়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন আমরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ঠিক হয়নি। ইতঃপূর্বেও নানা বিষয়ে দুই শিক্ষিকাকে নিষেধ করলে তারা তা শোনেনি। তিনি অসহায় বলে সাংবাদিকদের জানান।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন নামের দুই সহকারী শিক্ষিকাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইতঃপূর্বে তাদের বেতন বন্ধসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলেও তারা তাদের আচরণ পরিবর্তন করেনি। বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা দীপ্তি খাতুন ও রুহিনা খাতুন বিদ্যালয়ে না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে এসেছে। শিক্ষার্থীদের কথা শুনে তদন্ত করাসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাৎক্ষণিক ঐ শিক্ষিকাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available