ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সুপারি পচে তৈরি হওয়া মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ২ সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ আরও ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
১ নভেম্বর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন ওই বাড়ির বাসিন্দা শফিউল আলম ও তার ছোট ভাই শহিদ উল্লাহ। আহতরা হলেন একই বাড়ির মো. তৌহিদ, মোহাম্মদ শফি ও করিম। তারা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাদের মধ্যে তৌহিদ আইসিইউতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, পাইন্দং ইউনিয়নের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগর বাড়ির বাসিন্দা শফিউলের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সুপারির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের বাড়িতে থাকা পাকা ট্যাংকে কাঁচা সুপারি বস্তা ভরে ডুবিয়ে রেখে পচানো হয়। শুক্রবার ওই ট্যাংকের পানি পরিবর্তন করা হচ্ছিল। নিচে থাকা পানি সরাতে নেমে শফির স্ত্রীর অসুস্থ হয়ে গেলে পরে তিনি নিজেই নেমে পানি সরানোর কাজ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর ট্যাংকে থাকা পচা সুপারির বিষক্রিয়ায় শফি অসুস্থ হয়ে যান। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে পরপর আরও তিনজন মিথেন গ্যাসে অসুস্থ হয়ে যান।
পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়। সেখানে শফি ও তার ভাই শহিদুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে তৌহিদ আইসিইউতে রয়েছেন।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। একটি ৭-৮ ফুট পাকা ট্যাংকে কাঁচা সুপারি মজুদ রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। ট্যাংকটিতে সুপারি পচে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরি হয়।
দু'জন মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তুহিন দাশ শুভ্র।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available