নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।
২০ জুন বৃহস্পতিবার রাতে কাজী ফারুক আহমেদ নামের ওই ব্যক্তির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়। নিহত কাজী ফারুক আহমেদ (৪৫) নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে। নিহতের ভগ্নিপতি শেখ মোমেন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৯ জুন বুধবার দুপুরে নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে স্থানীয়দের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) জয় বণিক (৩১), স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (১৯), দাউদ মনা (৪১), ফারুক আহমেদ (৪৫) ও ফারুক মিয়া (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলিপুরের ইসমাইল কোম্পানি ও শাহজাহান মনা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাত থেকেই আধিপত্যের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষে জড়ালে দুই গ্রুপের মধ্যে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের এক এএসআই ও দুই গ্রুপের আরও তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গুলিবিদ্ধরা গ্রেফতার এড়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ফারুক আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । চিকিৎসাধীন থাকার একদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুর খবরে হামলা ও লুটপাটের আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন আলিপুর গ্রামের প্রতিপক্ষ ইসমাইল কোম্পানির সমর্থক লোকজন। এ বিষয়ে জানতে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদকে ফোন কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available