রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মধ্যে সিগারেট পাওয়ার অভিযোগে হল গেটে তালা দিয়ে হলে ভাঙচুর করেছে কিছু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় জড়িতদের হল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে়ছে প্রশাসন।
২৭ মে সোমবার রাতে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি হলে ভাঙচুর ও 'সন্ত্রাসী' কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ।
প্রাধ্যক্ষ পরিষদের একটি সূত্র জানিয়েছে, লতিফ হলে ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পক্ষে হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাসকিফ আল তৌহিদ এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মাসুদুর রহমানকে চিহ্নিত করেছে হল প্রশাসন। এদের মধ্যে তাসকিফ আল তৌহিদকে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় পূর্বেই হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।
জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এএইচএম মাহবুবুর রহমান বলেন, আজকে আমাদের একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছিলো। সেখানে হল প্রাধ্যক্ষকে হেনস্তার জন্য প্রাধ্যক্ষ পরিষদ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জড়িতদের হল থেকে বহিষ্কার এবং ভাঙচুরের মতো 'সন্ত্রাসী' কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায়, জড়িতদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে, সোমবার দুপুরে নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের খাবারে সিগারেট পাওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের অতিথি কক্ষ, প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের কক্ষের নামফলক ভাঙচুরসহ হলগেটে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
এক পর্যায়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এএইচএম মাহাবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের 'অকথ্য' ভাষায় গালিগালাজ শুনে ও তাদের আন্দোলনের মুখে হলে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান তিনি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও সহকারী প্রক্টর ড. জাকির হোসেন ও আল মামুন ঘটনাস্থলে আসলে তারাও ফিরে যান। এরপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব হলে আসেন। পরে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে যান।
এ ঘটনায় হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতাদের দুই পক্ষকে ১০টি করে জার্সি না দেওয়ায় 'পরিকল্পিতভাবে' এই আন্দোলনটি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এএইচএম মাহবুবুর রহমান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available