• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০২:৩১:৫৬ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০২:৩১:৫৬ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ধর্ম ও জীবন

রমজান প্রভুর কল্যাণ লাভের মাস

২০ মার্চ ২০২৪ দুপুর ০২:০৯:৪৬

রমজান প্রভুর কল্যাণ লাভের মাস

এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: মাহে রমজান মানুষকে দানশীলতা, বদান্যতা, উদারতা ও মহত্বের শিক্ষা দেয়। কোনো প্রকার অপচয় না করে রোজার মাসে মানুষের সেবায় দান-সদকা করলে অভাবক্লিষ্ট মানুষের কল্যাণ হয় এবং মানবতা উপকৃত হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে নবী! তাদের ধন-সম্পদ থেকে সদকা নিয়ে তাদেরকে পাক-পবিত্র করুন, (নেকির পথে) তাদের এগিয়ে দিন এবং তাদের জন্য রহমতের দোয়া করুন। (তওবা : ১০৩)

রমজানে দানের আধিক্যতা-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবকুলের মধ্যে সর্বাধিক উদার ও দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে যখন জিবরাইল আলাইহিস সালাম নিয়মিত রাসুলের কাছে আসতে শুরু করতেন, তখন তার দানশীলতা বহুগুণ বেড়ে যেত। (বুখারী) আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে কাউকে অধিকতর দয়ালু ও দানশীল দেখিনি।’ (মুসলিম)

অন্য একটি বর্ণনায় আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানের হাত এতটা প্রসারিত ছিল যে, সকালবেলা যদি ওহুদ পরিমাণ সম্পদও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে রাখা হয়, আমার মনে হয়, মাগরিব আসার আগেই তিনি সব দান করে শেষ করে ফেলবেন। (বুখারি ও মুসলিম)

রমজান মাসে দানে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব-
রমজানে প্রতিটি ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ মাসে যত বেশি দান-সদকা করা যাবে, তা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রিয় উম্মতকে রমজান মাসে বেশি পরিমাণে দান করতে উৎসাহিত করতেন। রমজান মাসে একটি নফল আমল ফরজের মর্যাদায় সিক্ত। সে হিসেবে রমজান মাসে আমাদের প্রতিটি দান-সদকাই ফরজ হিসেবে আল্লাহ তাআলার কাছে গণ্য। দান-সদকার এমন ঈর্ষণীয় ফজিলত অন্যান্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না। শুধু রমজানেই এই ফযিলত সীমাবদ্ধ।

দান ও সাদকাহের পুরস্কার-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বস্ত্রহীনকে কাপড় পরাবে, আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতে সবুজ রেশমি কাপড় পরিধান করাবেন। যে ব্যক্তি কোনো ক্ষুধার্তকে আহার করাবে, আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। যে ব্যক্তি কোনো তৃষ্ণার্তকে পানি পান করাবে, আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতের পবিত্র শরাব পান করাবেন।’ -আবু দাউদ।

দান করলে রিজিকে বরকত হয়-
দান-সদকা রিজিকে বরকত এনে দেয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে, যা কখনও ধ্বংস হবে না। যাতে আল্লাহ তাদের কাজের প্রতিফল পরিপূর্ণ দেন। তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেন। নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী।’ (ফাতির : ২৯-৩০)

রমজান দানশীলতার শ্রেষ্ঠ মাস-
রমজানে দান করলে দ্বিগুণ প্রতিদান পাওয়া যায়। দান-সদকা দ্বারা সম্পদে বরকত হয়। বিপদ-আপদ দূর হয়। গরিব-দুঃখীর উপকার হয়। দান-সদকার প্রতিদান বাড়তে থাকে। বর্ণিত হয়েছে, যারা নিজেদের মাল আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের খরচের উদাহরণ এমন, যেমন একটা বীজ বপন করা হলো এবং তা থেকে সাতটা ছড়া বের হলো এবং প্রতিটি ছড়ায় ১০০ করে শস্যবীজ হলো। এভাবেই আল্লাহ যার আমলকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ উদার ও মহাজ্ঞানী। -(বাকারা, আয়াত : ২৬১)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সদকা করলে সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে তিনি তার মর্যাদা উঁচুতে তুলে দেন।’ (মুসলিম : ৬৩৫৬)

কাদেরকে দান করবেন?
প্রথমতঃ নিকট আত্মীয়দেরকে। তারপর ইয়াতীম, বিধবা, ঋণগ্রস্ত, হতদরিদ্র বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের দিন। তবে ধর্মীয় স্কলারদের অভিমত হলো, এতীম-মিসকিন-হতদরিদ্র তালিবে ইলমকে দান করলে আপনি দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী হবেন। মহান আল্লাহ আমাদের রমজানুল মুবারকে বেশি বেশি দান ও সাদাকাহ করার তাওফিক দান করুন। (আমিন)

(লেখক : মুহাদ্দিস - জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা)

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩