আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডুতে ভয়াবহ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ১০ আগস্ট শনিবার জানিয়েছে, গত ৫ আগসট সোমবার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর ড্রোন হামলা হয়। তারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিলেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছে, ড্রোন হামলার পর মরদেহের স্তূপ জমে গিয়েছিল। যারা বেঁচে গিয়েছিলেন তারা ওই সময় স্তূপে গিয়ে নিজেদের পরিবার-পরিজনের খোঁজ করছিলেন।
নিহতদের মধ্যে এক গর্ভবতী নারী ও তার দুই বছর বয়সী মেয়েও ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই রাখাইন রাজ্যের সব জায়গায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই হচ্ছিল। সোমবারের এই হামলা সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের উপর হওয়া হামলার মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী।
তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে আরাকান আর্মি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা এর বদলে সেনাবাহিনীর উপর দায় চাপিয়েছে। অপরদিকে সেনাবাহিনীও ভয়াবহ এই হামলার দায় বিদ্রোহীদের উপর দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, কর্দমাক্ত ভূমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মরদেহ। তাদের স্যুটকেস এবং ব্যাগও পাশেই পড়েছিল। ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে ফেরা তিনজন জানিয়েছেন, ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি ৭০টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন। তবে রয়টার্স নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত হতে পারেনি।
অবশ্য কোথায় হামলা হয়েছে সেটি জানতে সমর্থ হয়েছে রয়টার্স। সংস্থাটি বলেছে, মিয়ানমারের উপকূলীয় শহর মংডুতে ঘটেছে এই হামলা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available