বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল নগরীতে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ মিলছে না বিদ্যুৎ। সম্প্রতি সময় প্রায় প্রতিদিনই ৩০-৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তার ওপর চলতি মাসের শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ ঠেকেছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে প্রতিঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে নগরবাসী। একটানা ৪০ মিনিট করে রাখা হচ্ছে এই লোডশেডিং। একারণে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছেন বরিশালের এক লাখ ২০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিবার।
গ্রাহকরা জানান, তারাবির নামাজ ও ঈদ মার্কেটিংয়ের এই ব্যাস্ত সময়টাতে হঠাৎ করে লোডশেডিং শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। বার বার বিদ্যুতের আসা যাবার ধকলে ক্ষতি হচ্ছে বৈদ্যুতিক সামগ্রির। ইফতার ও সাহরির সময়টাতে রিতিমত নাভিশ্বাঃস উঠছে। আইপিএস, ইউপিএস এবং জেনারেটর নির্ভর হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা।
বিদ্যুতের গ্রাহক ফার্মেসি ব্যবসায়ী সুমন, এনজিও কর্মী তানিয়া, মুদী দোকানি মিরাজ ও নরসুন্দর গোপাল বলেন, ‘হঠাৎ করে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এখন বিদ্যুৎ কখন যে যায় তা বলতে পারি না। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে কোনো কাজই যথাসময় করা যাচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। রোজার মধ্যে একদিকে গরম, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে আমরা এখন অতিষ্ঠ।’
এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ‘চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান হচ্ছে না। তাই সরবরাহও কমে গেছে। বরিশাল নগরীর ২৪টি ফিডারের মধ্যে বর্তমানে প্রায় সার্বক্ষণিকভাবে ৪৬ থেকে ৩০ মেঘাওয়াটের ঘাটতি থাকছে। শপিংমল ও কারখানা এলাকাগুলোতে যাতে বেচাকেনা ও উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে এজন্য এসব এলাকায় লোডশেডিং অনেকটা এড়িয়ে আবাসন এলাকায় বেশি করা হচ্ছে।’
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) বরিশালের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুবেল কুমার দে বলেন, ‘একে তো তাপমাত্রা বেড়েছে। অন্যদিকে বেড়েছে শপিংমলগুলোতে রাত অব্দি বেচাকেনা। একই সময়ে গ্রিড থেকে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং শুরু করেছি।
গ্রাহকদেরকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামলে উঠা গেলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available