• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:৪৬:৩৩ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০১:৪৬:৩৩ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

ইবিতে মেডিকেল সেন্টার ভাংচুর ও র‍্যাগিং কাণ্ডে বহিষ্কার ৬

৩ অক্টোবর ২০২৩ রাত ০৮:২৪:৫৪

ইবিতে মেডিকেল সেন্টার ভাংচুর ও র‍্যাগিং কাণ্ডে বহিষ্কার ৬

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিক্যাল সেন্টার ভাঙচুর ও নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ৩ জনকে স্থায়ী এবং ৩ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মিজানুর ইমন, শুভ এবং আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের রেজোয়ান সিদ্দিকী কাব্য। ১ বছর করে বহিস্কৃতরা হলেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ২০২১-২২ বর্ষের আকিব, সাকিব ও পুলক।

৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন, আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমানসহ ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা। সভাশেষে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে মিজানুর ইমন ও শুভর অধিকতর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং বাকী ৩ জন আকিব, পুলক ও সাকিবের সংশ্লিষ্টতা কম থাকায় তাদের ১ বছর করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া গত ১০ জুলাই মেডিক্যাল সেন্টার ভাংচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার সাথে থাকা অন্য ২ শিক্ষার্থী সালমান আজিজ, আতিক আরমান কাব্যের সঙ্গে থাকলেও সরাসরি সংশ্লিষ্ট না থাকায় তাদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের এ শাস্তি দেয়া হয়েছে।

র‍্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমান বলেন, আমি মনে করি প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এগ্রেসিভভাবে আমাকে র‍্যাগ দিয়েছিলো। আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্তই হয়েছে। আমি চেয়েছিলাম আমার সাথে যা হয়েছে যেন আর কারও সাথে না হয়। এ কারনেই আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। এ সময়টাতে পরিবার আমার পাশে ছিলো।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া পরিবেশ থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা সহাবস্থানে একে অপরের সহযোগিতা করবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা শিক্ষাবান্ধব এবং র‍্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর র‍্যাগিং ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনে ঐ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ঘটনা তদন্তে ১০ সেপ্টেম্বর ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর সাইফুল ইসলাম।

এদিকে ৬ শিক্ষাথীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ইবির প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে অভিযুক্ত ৬ শিক্ষার্থীর সমর্থকরা। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩