স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে নিখোঁজের দুই দিন পর জুনায়েদ (১১) হোসেন নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে মহানগরীর কোনাবাড়ী আমবাগ পশ্চিম পাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের গলি থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জোনায়েদ টাঙ্গাইলের সদর থানার গোলচত্বর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে। সে তার মা ও বড় বোনের সাথে আমবাগ পশ্চিম পাড়া মোয়াজ্জেম হোসেনের টিন সেটে ভাড়া থাকতেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা সময় বাসা থেকে বের হয় জোনায়েদ। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি। পরে তার পরিবারের নিকট আত্মীয় স্বজনের বাসায় খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। পরে মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর জোনায়েদ এর সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন তার পরিবার। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বুধবার দুপুরে আমবাগ পশ্চিম পাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলমগির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের গলিতে মরদেহ পরে থাকতে দেখে এক রাজমিস্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত জোনায়েদের নানি সুরাতন বলেন, খবর পেয়ে আমরা বাড়ি থেকে এসেছি। প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে হয় আমার ভাগ্নির। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুই বছর আগে জোনায়েদের মাকে ডিভোর্স দিয়ে তার বাবা বিদেশে চলে যায়। এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরি করে কোনো মতে সংসার চলতো তাদের।
জোনায়েদের বড় বোন জান্নাতি বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সময় সে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় আসেনি। আমি ও মা বুধবার সকালে অফিসে যাই। ১১টা সময় খবর আসে আমার ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। সে পড়াশোনা করতো না বাসায় থাকতো। আমরাতো কারও ক্ষতি করিনি। তাহলে কেন আমাদের এতো বড় ক্ষতি হলো।
কোনাবাড়ী মেট্রো থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিল্ডিং থেকে পরে তার মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available