পঞ্চগড় প্রতিনিধি: হিমালয়কন্যা নামে পরিচিত সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। আর শীতকাল মানেই টাটকা সবজির সমারোহ এই জেলায় । ফুলকপি, বাঁধাকপি, করল্লা, ঝিঙা, মূলা, বেগুন, টমেটো, বিভিন্ন ধরনের শাকসহ নানা ফসলে ভরে উঠে মাঠগুলো। এ সময় প্রতিটি কৃষক কেউ বাণিজ্যিকভাবে আর কেউ বা নিজে খাবার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেন সবজি উৎপাদনে।
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের প্রধান ফসল ধান, গম, ভূট্টা, পাট, মরিচ, আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজি। তবে এখন বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে শীতকালীন বিভিন্ন ফসল ও শাক-সবজি। প্রতিদিন এসব উৎপাদিত ফসল সরবরাহ হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অনেক চাষি ইতোমধ্যে আগাম জাতের সবজি খেত থেকে তোলে বিক্রি করে আবারও ওই জমিতে সবজি চাষ শুরু করছেন। ফলে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
জেলার গরিনাবারি ইউনিয়নের সবজি চাষি কাদিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ৩০ শতক জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে করল্লা চাষ করছি। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এখনও ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারিনি।’
জেলার চাকলা ইউনিয়নের চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, তার ১৬ শতক জমি থেকে মাত্র ৩ হাজার টাকা খরচ করে আগাম জাতের লাউ চাষ করে এবার ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। এরপর ওই জমিতে আবারও সবজি চাষ শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শীতের সবজির ফলন ভালো হয়েছে।
হাফিজাবাদ ইউনিয়নের চাষি সাদেকুল ইসলাম জানান, ৩০ শতক জমিতে সবজি চাষ করে প্রতি বছর তিনি ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। এবারও সবজি চাষ করেছেন। এখানকার সবজি ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
সরেজমিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা প্রতিকেজি করল্লা ২০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, লালশাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, ঝিঙা ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিয়াজউদ্দিন জানান, শীতের সবজি চাষ করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পরামর্শসহ কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকেন। লাভজনক হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শীতের সবজি চাষ হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available