ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মন্ডতোষ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব হাশেম মোল্লা, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম।
১৯ অক্টোবর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) আব্দুল করিম হাসপাতালে গিয়ে আহতদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উল্লাপাড়ার নওগাঁ হাটে ভটভটি গাড়ি যোগে ভাঙ্গুড়া থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব লিখন সরকারের মেঝ ভাই সজীব সরকার। গাড়িটি ভাঙ্গুড়া থেকে নওগাঁ যাওয়ার পথে ময়দান দীঘি বাজারের নিকট পৌঁছালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে ট্রাকের লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে যায়।
ওই ঘটনায় ছাত্রদল নেতার ভাই সজীব সরকারকে স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতা মারধর করে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনার জেরে ছাত্রদল নেতা লিখন সরকার ১৯ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা দিকে ভাঙ্গুড়া থেকে ৪টি মোটর সাইকেলে লোকজন নিয়ে রতন নামের এক বিএনপি কর্মীকে তুলে আনতে ময়দানদীঘি বাজারে যায়। এ সময় রতনকে তুলে ভাঙ্গুড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে তাকে ধরতে গেলে রতন ভয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন এর দোকানে উঠে পালিয়ে পার পান। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা জড়ো হয়ে তাদের বাধা দিলে তারা পরে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে ফিরে আসে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে অবগত করলে ওসি মো. শফিকুল ইসলাম উভয় পক্ষকে থানায় বসে অপস-মীমাংসার কথা বলেন। সেই প্রস্তবে সাড়া দিয়ে খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান খোকনের নেতৃত্বে ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙ্গুড়া থানায় আসার পথে ভাঙ্গুড়ার নৌবাড়িয়া চৌরাস্তায় এলাকায় পৌঁছালে লিখন সরকারের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ওই তিন বিএনপি নেতা গুরুতর আহত হন।
ঘটনার সময় উপস্থিত ভাঙ্গুড়া উপজেলা যুব দলের যুগ্ম-আহবায়ক মো. শাহিনুর রহমান শহিন বলেন, এটা আমাদের দলের আভ্যান্তরীণ ব্যাপার।
একই ধরনের মন্তব্য করেন উপজেলা যুবদলের আরেক যুগ্ম-আহবায়ক ফরিদ আহম্মেদ বলেন, 'এখনই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এটি আমাদের নিজেদের বিষয়।’
ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আহতের তিনি ও তার ওসি তদন্ত দেখতে গিয়েছিলেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available