• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৯:১৫:৩৯ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৯:১৫:৩৯ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

প্রিয় ঢাকা

প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে: খসরু চৌধুরি

১৬ জুলাই ২০২৪ দুপুর ০১:৩৬:৫০

প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে: খসরু চৌধুরি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ, পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরি এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জেল হতে মুক্তির মাধ্যমেই এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে এসেছে। ১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এই সংসদ সদস্য।

আমির খসরু এমপি বলেন, ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই সময় তাঁর মুক্তি দাবিতে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

সেদিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২ সহস্রাধিক সদস্য ভোর বেলায় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। সে সময় শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং বন্দি অবস্থায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে।

এরপর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইনবহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে প্রতিটি সেক্টরেই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া ও খুলে গেছে অযুত সম্ভাবনার দ্বার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর অবস্থা, দারিদ্র্য দূরীকরণ ইত্যাদি সামাজিক খাতে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। এ অগ্রগতিকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা ‘ঈর্ষণীয়’ বলে বর্ণনা করেন।

শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েচিলেন তা অনেক আগেই পূরণ করেছেন। ইতোমধ্যেই জনগণের প্রত্যাশার চেয়েও বেশিকিছু করতে পেরেছেন। গুণগত ও সংখ্যাগত দুই দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ দৃশ্যমান। এক সময় বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। যারা সে সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো, আজ তারাই দেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করেন। এটাই আওয়ামী লীগের অর্জন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী নেত্রীদের মধ্যে আইকন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ সকলের সাথে সুসম্পর্ক রেখে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।

ইতোমধ্যে দেশের ৯টি জেলার ২১১টি উপজেলায় সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসিত করা সম্ভব হয়েছে। এটি বিশ্বকে তাক লাগানোর মতো একটি বিস্ময়কর ঘটনা অবশ্যই। বিনামূল্যে নামজারিসহ দুই শতক জমিতে পরিকল্পিত বাসগৃহ পেয়ে ছিন্নমূল গৃহহীন পরিবারগুলো আনন্দে আত্মহারা। এর পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কার্যক্রমের আওতায় পুনর্বাসিত হয়েছে আরও দুই লাখ ১৬ হাজার ৭০৪টি পরিবার। পরিবারপ্রতি পাঁচজন হিসেবে এই কার্যক্রমে এ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।

বাকি ২১ হাজার ৪০টি পরিবার চিহ্নিত করে তাদের পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসনের মাধ্যমে দেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না- অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে গৃহশুমারি করে সরকার অবগত হয় ১৬ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ তখন ছিলেন ভূমিহীন-গৃহহীন অথবা যাদের জমি আছে ঘর নেই। সেই তালিকা অনুযায়ী সুবিধাবঞ্চিতদের চিহ্নিত করে ঘর দেওয়া হচ্ছে পর্যায়ক্রমে।

শেখ হাসিনার গত চার মেয়াদে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, তা নজিরবিহীন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এক বিস্ময় বিশ্ববাসীর কাছে। বর্তমানে বিদেশিরাও বাংলাদেশের সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। দেশে ও দেশের বাইরে ভিশনারি লিডার হিসেবে শেখ হাসিনার যে ঈর্ষণীয় সাফল্য তা এক কথায় অনন্য ও অসাধারণ।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত
২৪ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ০৯:০৩:২৬




বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ০৭:৫৪:৫২