• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:০৩:২৬ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:০৩:২৬ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

জোড়াতালি দিয়েও যেন চলছে না মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

১৮ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ১০:০৯:৫৯

জোড়াতালি দিয়েও যেন চলছে না মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: জনবল সংকটের কারণে জোড়াতালি দিয়েও চালানো যাচ্ছে না মহেশপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা। দিনের পর দিন ঘুরেও রেজিস্ট্রি না করতে পারায় জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের দাবি সেবা প্রত্যাশীসহ সংশ্লিষ্টদের।

স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার থাকতে আগে যেখানে প্রতি মাসে ৯শ’ দলিল রেজিস্ট্রি হতো, এখন সেখানে হচ্ছে মাত্র ৪শ’ দলিল। সরকারের এ খাত থেকে রাজস্ব কমেছে মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আওতায় পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নের ২৫৫ গ্রামে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বসবাস করেন। এই উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার গত বছরের ডিসেম্বরে বদলি হওয়ার কারণে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে দলিল রেজিস্ট্রি না করে। প্রায় ১০ মাস ধরে স্থায়ী সাব রেজিস্ট্রার না থাকার কারণে জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে না ঠিকমতো। সেই সাথে সাধারণ মানুষও হচ্ছে নাজেহাল।

একজন সাব-রেজিস্ট্রারকে পালাক্রমে (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) এ দু’ উপজেলায় দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। সকাল ৯টার সময় অফিস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার মহেশপুরে আসেন ১১টার পর। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেবাপ্রত্যাশীদের। রেজিস্ট্রি না হওয়ায় শত শত জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও জরুরি কাজে দলিল উত্তোলনকারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। পাশাপাশি সরকার প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকার রাজস্বও হারাচ্ছে।

মহেশপুর উপজেলার সামন্তা গ্রামের নজের আলী জানান, তিন সপ্তাহ ধরে ঘুরে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেছি। এতে করে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আমাকে। একদিকে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়েছে অপর দিকে সময় অপচয় হয়েছে।

দলিল লেখক বাবর আলী বাবু জানান, সপ্তাহে দুই দিন অফিস চলে। নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস না চলার কারণে দলিল লেখকসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। প্রায় ১০ মাস ধরে রেজিস্ট্রার নিয়মিত না থাকার কারণে জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে না ঠিকমতো।

দলিল লেখক জিয়াউর রহমান জানান, এতো বড় উপজেলায় যদি সাব-রেজিস্ট্রি না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এক দিকে সাধারণ মানুষ দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পেরে ভোগান্তি হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার প্রতি মাসে মহেশপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে মহেশপুরে একজন সাব-রেজিস্ট্রার দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

নতুন কর্মকর্তা পদায়নের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান জেলা রেজিস্ট্রার।

মহেশপুর উপজেলায় গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে ১২ হাজার। কর্মকর্তা বদলি হওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি মাস অক্টোবর পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ২শ’। স্থায়ী কর্মকর্তা না থাকায় প্রতি মাসে এভারেজ ৫শ দলিলেরও কম রেজিস্ট্রি হচ্ছে। সরকারের এ খাত থেকে রাজস্ব কমেছে মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩