নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান ইসির ওপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের চাপ পড়েছে। তাই কমিশনের দায়িত্ব বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
১ অক্টোবর রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট। সেটি যেন তৈরি না হয়, সেজন্য দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর বিতর্কের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে। এজন্য এই কমিশনের দায়িত্ব অনেক বেশি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি। আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাচ্ছি এই নির্বাচনের বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগের মাত্রা অতিরিক্ত। নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক থাকতে পারে। অতীতে, এমনকি ব্রিটিশ আমলেও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বলে জানান তিনি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, ক্রেডিবিল বলে একটা শব্দ আছে। এই শব্দটা শুধু আমাদের দেশের আইনে নয়, সব দেশের আইনে এবং আন্তর্জাতিক যে আইসিসিপিআর আছে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস, সেখানেও ডেমোক্রেসির ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে; নির্বাচনগুলো ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা প্রতিপাদিত করতে পারব।
বক্তব্য রাখার আগে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিইসি কাজী হাবিবুর আউয়াল।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি- এই দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তর্কবিতর্কের বিষয়টি উত্থাপন করেন সিইসি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available