মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খালে নির্মিত সেতুটি দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙা থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দোকানদার ও এলাকাবাসী। পৌরসভার ছেংগারচর বাজারে কলাকান্দা রোড হয়ে স্কুল ও বাজারে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটা।
এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ছেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছেংগারচর বাজারে যাতায়াত করে শত শত মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে পাড় হতে হচ্ছে প্রতিদিন এ সকল পথচারীদের। যেকোনো মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ছেংগারচর খালের উপর প্রায় ১৫ বছর পূর্বে নির্মিত হয়েছে এ সেতু। গত পাঁচ বছর আগেও সেতুটির কিছু অংশ ভেঙে যায়। পরে কোন রকম সংস্কার করা হয়।
এবারও স্কুলে যাওয়ার একমাত্র সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাজারে আসা লোকজন যাতায়াত করতে পারছে না। ঝুঁকি নিয়ে অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এক যুগ সময় পেরিয়ে গেলেও জরাজীর্ণ সেতুটির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের সময় অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং ঢালাইতে পর্যাপ্ত উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। তাই সেতুটির ঢালাই ভেঙে নিচে পড়ে যাচ্ছে এবং বর্তমানে বড় একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে গিয়ে রড বের হয়ে গেছে। সেতুর বেশির ভাগ অংশ ধসে যাওয়ায় এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।
পালালোকদি গ্রামের বাসিন্দা মো. মোস্তফা জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। প্রতিদিনই সেতু দিয়ে শত শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মো. আল আমিন তার পরিবার নিয়ে অটো রিকশায় করে ছেংগারচর বাজারে যাচ্ছেন। তিনি জানান, এই সেতুর এমন অবস্থা জানলে এখানে আসতাম না। তাছাড়া রাস্তার অবস্থাও ভালো না, ধুলোবালুতে সব একাকার।
এ বিষয়ে ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার জানান, ব্রিজটি নির্মাণের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available