• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:০০:৪৫ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:০০:৪৫ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নেছারাবাদে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় চালু হচ্ছে না ৫ কোটি টাকার সেতু

২২ জুন ২০২৪ রাত ০৮:৪৯:৪৬

নেছারাবাদে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় চালু হচ্ছে না ৫ কোটি টাকার সেতু

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদে দুই পাশের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় চালু হচ্ছে না ৫ কোটি টাকার সেতু। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে চার বছর ধরে অপরাজেও সৈনিকের মত দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। এলজিইডির দাবি, ব্রিজটির বরাদ্দের সময় জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া সমাপ্ত না করেই ধরা হয়েছিল কাজ। নতুন করে বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাই সেতু নির্মাণ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নে তাঁরাবুনিয়া খালের উপরে যে পুরনো সেতুটি ছিল, সেটি পাঁচ বছর আগে ভেঙে পড়েছে। নতুন সেতু তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে চলাচলের একমাত্র সম্বল ছিল নৌকা। নতুন সেতু হওয়ার পরে নৌকায় পারাপারের সমস্যা সমাধানের আশা ছিল, কিন্তু নতুন সেতু নির্মাণের পরে করা হয়নি দুই পাশের সংযোগ সড়ক। যার ফলে এত টাকায় নির্মিত সেতু নিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে আবারো নতুন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথকাঠি-বৈঠাকাটা জিসি সড়কে আই.বি.আর.বি প্রকল্পের আওতায় ৪৬ মিটার লম্বা আরসিসি গার্ডার ব্রিজ যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করে মেসার্স এম এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। ৫ কোটি ৬২ লক্ষ ২২ হাজার ৭০ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ও ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৬ টাকার চুক্তি মূল্যে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। যার কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং সমাপ্তির কথা ছিল ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এখনো সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

স্থানীয় শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা পুরনো সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার পরে নৌকায় পারাপার করতাম। এখানে নৌকা না থাকলে পারাপার সবার জন্য অন্যতম ভোগান্তির কারণ ছিল। নতুন সেতু করে দুই পাশে সংযোগ সড়ক করেনি। আমরা নিজেরাই সেতু পারাপারের জন্য কাঠের সেতু বানিয়ে নিয়েছি। স্থানীয় আমিনুল ইসলাম বলেন, কবে যে এই সিঁড়ি সমস্যার সমাধান হবে আমাদের জানায়নি কর্তৃপক্ষ। এত টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ করে আমরা যেন শান্তিতে পারাপার করতে পারি। সেই ব্যবস্থা দ্রুত করবেন কর্তৃপক্ষ কাছে এমনটাই আশা আমাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের এই সিঁড়ি ব্যবহার করতে অনেক অসুবিধা হয় বয়স্করা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারেন না। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সামনে বৃষ্টি আসলে এ নিয়ে ভোগান্তি আরো বাড়বে। নতুন সিঁড়ি বানিয়ে যদি সেতুতে উঠতে হয় তাহলে নৌকাই ভালো ছিল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন বলেন, তারাবুনিয়া খালের উপরে আগের সেতুটি ভাঙার পরে নতুন সেতুর কাজ করছে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেছে, স্থানীয়রা জমি দেয়নি তাই সংযোগ সড়কের কাজ আটকে আছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, ব্রিজের কাজ তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে দুই পাশে যাদের জমিতে সংযোগ সড়ক পড়েছে, তারা জায়গা দিচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যাতে তারা দ্রুত সময় কাঠের সিঁড়ির মত এই মরণ ফাঁদ খুলে বিষয়টি সমাধান করেন। সংযোগ সড়কের দুই পাশের জমি অধিগ্রহণের না করলে সমস্যাটি থেকেই যাচ্ছে।

নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে সিঁড়ি তৈরি করে নিয়েছে, এটি আসলেই একটি সমস্যা। আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে বলেছে স্থানীয়রা জায়গা দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করছে। তাই তারা কাজ বন্ধ রেখেছে। আমি চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত এই ভোগান্তির সমাধান সম্ভব হয়।

নেছারাবাদ উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ আটকে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন এবং তারা এসে দেখে গেছেন। তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩