• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:৩৯:১৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৬:৩৯:১৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ব্যবসা-বাণিজ্য

নানা অনিয়মের অভিযোগে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ঘোষণা

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ০৮:৫২:৫৯

নানা অনিয়মের অভিযোগে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ঘোষণা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: অবশেষে আল্টিমেটাম দেয়ার এক সপ্তাহ পর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে চার দফা দাবিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থল বন্দর উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

১৫ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের এই ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দরটির আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন।

তিনি জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাশুল আদায় করছে। এছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওয়্যারহাউস ভাড়া, নিরাপত্তার অভাবসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ ব্যাপারে বারবার বলা সত্ত্বেও পানামা কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়েই আজ রোববার থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের  সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড ২০১৯ সাল থেকে হঠাৎ করেই পাথরের ট্রাকে ৭৮৩ টাকার পরিবর্তে ৮ হাজার টাকা মাশুল আদায় শুরু করে দেয়। কিন্তু এসব অর্থ সরকারি নিয়মে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা না করে পানামা পোর্টের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরটি দ্বিতীয় হলেও ২০০৬ সালে বন্দরটি উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিওটির শর্ত মোতাবেক বন্দরের অভ্যন্তরে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শেষ করতে পারেনি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড। এমনকি ফোর্ক লিফট, ক্রেন, রেকার, হেভিওয়েট স্কেলের মতো পূর্ণ সক্ষমতার লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থাও করতে পারেনি পানামা।

এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্টলিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, সরকার নির্ধারিত পণ্য খালাশের মাশুল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। তারা ২০১৯ সালে একটি পাথরের ট্রাকে যে ৭৮৩ টাকা মাশুল দিতেন এখনো সে টাকাই দিতে চান। কিন্তু সরকার মাশুলের পরিমাণ বাড়িয়েছেন, যা প্রায় চার হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি বন্দর দিয়ে প্রবেশ করলেও ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারতীয় পণ্যবাহী কোনো ট্রাক ভারত থেকে বন্দরে প্রবেশ করেনি।

এদিকে আমদানি-রপ্তানিকারকদের এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দ্রুতই এ বিষয়ে সমাধান হয়ে যাবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩