• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:২৪:১৬ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ভোর ০৫:২৪:১৬ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক, চিকিৎসাবঞ্চিত ৩০ হাজার মানুষ

৯ জুন ২০২৪ দুপুর ১২:০৬:৫৩

ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক, চিকিৎসাবঞ্চিত ৩০ হাজার মানুষ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত বন্দবেড় ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় ৩০ হাজার সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সমন্বয় সভায় আলোচনাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন দিলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

বন্দবেড় ইউনিয়নের কুটিরচর কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনের মূল ফটকে ঝুঁলছে তালা। 
স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় কিছু দিনের মধ্যেই কিছু অংশ মাটির নিচে ডেবে যায়। এছাড়া ভবনের ছাদ থেকেও বৃষ্টির পানি চুয়ে পড়ে।

এ ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) আনোয়ার হোসেন ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের বাড়িতে বসে থেকে ঢিলেঢালাভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। তবে তার সহযোগী স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ), পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (এফডব্লিউ এ) দুজনই অনুপস্থিত থাকেন।

বন্দবেড় গ্রামের বাসিন্দা সাজেদা বেগম (৪৮) বলেন, ‘পাকা ঘর থাইকা সব ওষুধ চেয়ারম্যানের বাড়িত নিছে। ওডাই থেকে আমাদের ওষুধ দেয়। ঝড়ি হলে বিল্ডিংয়ের ভিতর পানি পড়ে।’

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, “শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাচাঁয় প্রাণ” ১৯৯৮ সালে প্রথমধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হলে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পর্যাক্রমে ৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়।’

কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত সিএইচসিপি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্লিনিক শুক্রবার সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই খোলা থাকে। তবে অন্যের বাড়ি থেকে সেবা প্রদান করা হয়। ক্লিনিকের ভবনটি নির্মাণের পরেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি পড়ে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ধ্বসে পড়ছে। যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবগত করা হলে, তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এছাড়াও আশপাশের জমির মালিকরা তাদের জমিতে মাটি ভরাট করায় ক্লিনিকের ভবনটি মাটির নিচে পড়ে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাছ আলী বলেন, ‘নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ভবনটি অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে গেছে। এবিষয়ে আমি সাবেক মন্ত্রীমহোদয়কে জানাইছি,কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তবে গ্রামের সচেতন মহলের সিদ্ধান্তে আপাতত কবীর চেয়ারম্যানের বাড়ির একটি রুম থেকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। ভবনটি নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরদাবি করছি।’

এ সর্ম্পকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আপাতত স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির বাড়ির একটি রুম থেকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়েছে। তবে এটা একটা বড় সমস্যা। এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষের দ্বার প্রান্তে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া বড় সমস্যা হচ্ছে। এনিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩