বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলা নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমকে হিমুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও অভিনয়শিল্পী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর।
উর্মিলা মুঠোফোনে জানান, হোমায়রা হিমুর মরদেহ ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কেউ বলছেন আত্মহত্যা আবার কেউ বলছেন হত্যা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হুমায়রা হিমুর জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুরে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তিনি মঞ্চে কাজ করতেন । ১৯৯৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় আসেন হিমু। পরে কাজ করেন নাগরিক নাট্যাঙ্গনসহ আরও কয়েকটি নাটকের দলে।
এসময় একজনের পরামর্শে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় মডেলিংয়ের জন্য ফটোশুট করেন। যোগাযোগ শুরু করেন বিভিন্ন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। পরে এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনে তিনি কাজের সুযোগ পান, পরে কাজ করেছেন আরও কয়েকটি বিজ্ঞাপনে। হিমুর প্রথম টেলিভিশন নাটক তাহের শিপনের পিআই।
নাটকে অভিনয়ে শুরুর দিকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় তাঁর অভিনয় দর্শকের মধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলে। হিমু অভিনয় করেছেন- সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনে না সে শোনে না, কমেডি-৪২০, চাপাবাজ, অ্যাকশান গোয়েন্দা, ছায়াবিবি, এক কাপ চা, এ কেমন প্রতিদান, হুলো বিড়াল, ছন্নছাড়া ৪২০, অ্যাম্বুলেন্স ডাক্তার, পাগলা প্রেমিকসহ অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটকে।
অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও। ২০১১ সালে আমার বন্ধু রাশেদ সিনেমার মাধ্যমে হিমুর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রটিতে তিনি অভিনয় করেছেন তরু আপা চরিত্রে। সিনেমায়ও তিনি দারুণ প্রশংসা কুড়ান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available