শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন স্বপ্নবাজ যুবক অহিদুজ্জামান। টেলিভিশনের প্রতিবেদন ও ইউটিউব দেখে এ জাতের কমলার চাষ শুরু করেন তিনি। তার কমলার বাগান দেখতে মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। ভালো ফলন দেখে রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে।
অহিদুজ্জামান উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের পানবুড়ি গ্রামের সন্তান। তিনি পেশায় একজন নার্সারি ব্যবসায়ী। পাশাপাশি রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
জানা যায়, ভারত ও চীন দেশে ব্যাপকভাবে রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ হয়। বাংলাদেশে এ কমলার চাহিদা বেশি হওয়ায় আমদানিও হয় বেশি। আমদানিকৃত রামরঙ্গন কমলা লেবুর চেয়ে এ এলাকার উৎপাদিত ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু। সামান্য কিছু পরিচর্যা করলেই চাষে সাফল্য আসে। রামরঙ্গন কমলা চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ থেকে এক মৌসুমে দেড় মণ থেকে দুই মণ রামরঙ্গন কমলা পাওয়া সম্ভব। রামরঙ্গন কমলা গাছ ৫-৬ ফুট লম্বা হয়। এটি কমলার একটি ভ্যারাইটি জাত। এই জাতের কমলা চাষে সুবিধা হচ্ছে পরিপক্ব হওয়ার পরও এটা গাছ থেকে ঝরে পড়ে না। পরিপক্বের পরও অন্তত ফলটি এক মাস গাছে রাখা যায়। দুই বছরের মধ্যে গাছে ফলন দেয়।
কমলা চাষী অহিদুজ্জামান বলেন, ‘তিনি দুই বিঘা জমিতে রামরঙ্গন জাতের কমলা চাষ করেছেন। প্রথম বছরে এক লাখ ৬৬ হাজার টাকার ফল বিক্রি হলেও এ বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় ফল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করেন।’
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন, ‘উপজেলায় এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে কমলার চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে পানবুড়িয়া গ্রামের অহিদুজ্জামান ২ বিঘা জমিতে রামরঙ্গন কমলার চাষ করেছেন। এ এলাকায় আবহাওয়া ও মাটি ভালো হওয়ায় বিভিন্ন দেশি বিদেশি জাতের ফল চাষের জন্য উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে চাষিরা ভালো ফলন পাবেন। আগামী বছর কমলার আবাদ আরও বাড়বে। বাণিজ্যিকভাবে এ এলাকায় আবাদ করা গেলে উৎপাদিত কমলা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available