মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিভিন্ন এলাকায় শীত মৌসুমে চলা অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে চলছে প্রশাসনের অব্যাহত অভিযান। করা হচ্ছে জেলা জরিমানা। আটক করা হচ্ছে মাটির কাটার কাজে ব্যবহার করা ট্রাক ও এক্সকেভেটর মেশিন। এ কাজে জড়িত থাকার অপরাধে ব্যবসায়ীদের করা হচ্ছে জরিমানা। দণ্ড দিয়ে জেলে দেয়া হয়েছে কয়েকজনকে।
মধুপুর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর অরণখোলা ইউনিয়নের জলছত্র এলাকায় ৮ একর কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ৬টি ট্রাক ও ১টি এক্সকেভেটরসহ ৬ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এসময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসারে একজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৫ জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
২৪ ডিসেম্বর মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের পালবাড়ী মৌজায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
১৪ ডিসেম্বর মহিষমারা ইউনিয়নের জয়নাতলী গ্রামে অবৈধ মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর মৌজায় গজারীর বন সম্বলিত টিলার লাল মাটি কাঁটার অপরাধে ছালাম নামের এক মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সম্প্রতি মধুপুর উপজেলা প্রশাসন লাল মাটির গড় এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৮টির বেশি অভিযান পরিচালনা করে ট্রাকসহ মাটিকাটার সরঞ্জাম আটক করে। অবৈধভাবে মাটি কাটা অপরাধে কিছু ব্যক্তিকে আটক করে জেল জরিমানাও দিয়েছে।
অবৈধভাবে মাটি কাটা ও ব্যবসা বন্ধ প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সহকারি কমিশনার ভূমি রিফাত আনজুম পিয়া।
৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর এলাকায় গজারী বনের টিলা জমি থেকে এক্সকেভেটর দিয়ে লাল মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া।
সেখানে টিলা কাটার অপরাধে ছালাম নামের এক ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন তিনি।
সহকারী কমিশনার ভূমি রিফাত আনজুম পিয়া জানান, অবৈধভাবে মাটি কাটার ফলে কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য ও লাল মাটির ঐতিহ্য টিলাকে কেটে সৌন্দর্য বিনাশ করা হচ্ছে। কৃষি জমি ধ্বংসের ফলে ভূমি ধস হতে পারে। মাটি কাটতে হলে প্রশসনের অনুমতি সাপেক্ষেই কাটতে হবে। ফসলি জমি ও পাহাড়ি মাটি কাটার রোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। জন সচেতনতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসা দরকার বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available