টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের প্রমত্তা যমুনা চরে দিন দিন বাড়ছে তামাকের আবাদ। এতে করে প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ছে। কৃষি বিভাগসহ সরকারিভাবে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত না করার কারণে এর ভয়াবহতা বাড়ছে। এতে করে ফসলের জমির উর্বরতা কমার পাশাপাশি প্রাণিকূলে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলে বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে তামাকের আবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও এবার ব্যাপকহারে তামাকের আবাদ বেড়েছে। সরকারি হিসেবে জেলায় মাত্র ২৩৩ হেক্টর জমিতে তামাকের আবাদ দেখানো হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে এবার তামাকের আবাদ হচ্ছে। বহুজাতিকসহ টোবাকো কোম্পানিগুলো অগ্রিম দাদন দেয় তামাক আবাদে। তাছাড়া পণ্য বিক্রির নিশ্চয়তা থাকায় তামাকের আবাদের প্রতি কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
দেশে প্রায় পৌনে চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে তামাক সেবনের সাথে জড়িত। পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার প্রায় তিন কোটি ৮৪ লাখ মানুষ। তামাকের ব্যবহারে হৃদরোগ, ক্যানসার, বক্ষব্যাধিসহ নানা ধরনের জটিল রোগে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তারপরও তামাকের ভয়াবহতা কমছে না। তামাক নিরোধ আইন থাকলেও যেখানে সেখানে প্রকাশ্যে ধূমপান করা হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
টাঙ্গাইল জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতির সভাপতি এডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ বলেন, তামাক চাষের কারণে কৃষকদের মাঝেও নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রকৃতির উপর নেমে এসেছে বিরূপ প্রভাব।
টাঙ্গাইল প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, প্রতিবছর দেশের প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় ধূমপান ও তামাকের পেছনে। এ অবস্থায় প্রকৃতি ও পরিবেশের সুরক্ষায় তামাক চাষ ও সেবনের উপর কঠোর আইন প্রয়োগের কথা বলছেন পরিবেশবিদরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available