স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের যমনুার চরাঞ্চলে বাড়ছে চিনা বাদামের আবাদ। যমুনার বুকে জেগে ওঠা নতুন নতুন চরগুলোতে কৃষকরা আবাদ করছেন বাদামের। বাদাম আবাদে খরচ একেবারে কম। সামান্য পরিচর্যায় বেড়ে উঠে বাদামের গাছ। ফলন ভালো পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে।
অত্যন্ত পুষ্টিকর তৈল জাতীয় এ খাবারটির আবাদে অনুকূল পরিবেশ ও সরকারি সহযোগিতা পেলে যমুনার চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিগুলো আবাদের আওতায় আসবে।
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের এবার ব্যাপকহারে আবাদ হচ্ছে বারি-৮ ও বারি-৯ জাতের চিনা বাদাম। নদীর পানি কমার সাথে সাথে জেগে ওঠা চরগুলোতে সামান্য পরিচর্যা করে এসব বাদাম রোপণ করেন কৃষক। দু’একবার সামান্য সেচ দিলেই তা বেড়ে উঠে। পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে।
চাষিরা জানান, বাদাম আবাদে খরচের দুই থেকে তিন গুণ বেশি লাভ থাকে। প্রতি হেক্টরে এক থেকে দেড় মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদন হয়। এসব বাদাম বাজারে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দরে প্রতি মণ বিক্রি হয়।
গাজীপুরের বারি’র মুখ্য বৈজ্ঞানকি কর্মকর্তা ড. মো. মসিউর রহমান জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সারাদেশের নদীর চরাঞ্চল ও পরিত্যক্ত জমিগুলোতে এসব বাদাম আবাদের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available