সিলেট প্রতিনিধি: ঈদের আগের দিন থেকে টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ২ জুলাই রোববার পঞ্চম দিনের মতো বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে, এতে নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ছে মানুষের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এতে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারি বর্ষণে নগরীর কুয়ারপাড়, লালাদিঘীরপাড়, সুবিদবাজার, উপশহর, মিরাপাড়া, আখালিয়া, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, রাজারগল্লি, বাদমবাগিচা, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়, ঘাসিটুলা, তালতলাসহ বেশকিছু এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় সড়কে হাঁটুপানি দেখা গেছে। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়েছে মানুষের বাসাবাড়িতে। অনেকের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানি।
নগরীর মিড়াপাড়া বাসিন্দা পিংকু দাস জানান, সিটি কর্পোরেশন প্রশস্ত ড্রেন নির্মাণ করেছে ঠিকই কিন্তু ড্রেন দিয়ে পানি নামার ছিদ্র রাখা হয়েছে খুবই ছোটো। যে কারণে পানি দ্রুত সময়ে নামতে না পেরে বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
নগরীর কুয়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা সজিব পাল বলেন, রাতে ঘুমানোর আগেতো সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার সামনে পানি আর পানি। আমরা থাকি বাসার নিচতলায়। বৃষ্টি হলেই আতঙ্কে থাকি। আজও ঘরের কিছু অংশে পানি ঢুকেছে। জিনিসপত্র নিয়ে টানাটানি করতে করতে আমরা হয়রান।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গেলে পানিও নেমে যাবে আশা করছি।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সজিব হোসেন বলেন, রাতে ও সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে সিলেটের নদ-নদীগুলোতেও পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available