সিলেট প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পানি জমে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ৭ অক্টোবর শনিবার সকাল পর্যন্ত সিলেট নগরের অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, ৭ অক্টোবর শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। সকাল থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট নগরের উপশহর, মির্জাজাঙ্গাল, তালতলা, কাজলশাহ, শেখঘাট, বনকলাপাড়া, কালীঘাট, পীরমহল্লা, সেনপাড়া, আদিত্যপাড়া, কেওয়াপাড়া, পায়রা, দরগাগেট, চৌহাট্টা, রেলওয়ে স্টেশন আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাট ও বাসায় পানি ঢুকেছে। গোড়ালি থেকে হাঁটুসমান পানি জমেছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও নিচতলায় পানি জমেছে। ফলে রোগী, তাঁদের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপশহর এলাকার বাসিন্দা পিংকু দাস বলেন, বৃষ্টির কারণে তাঁদের এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে। তাঁর ঘরের বারান্দায় পানি চলে এসেছে। এভাবে আরও কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে তাঁর বাসার ভেতরে পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা আছে।
ভুক্তভোগী বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, প্রধানত তিনটি কারণে নগরে অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই এখন জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে নগরের ছড়াগুলোয় অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ, অনেক ড্রেনের উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়ে পড়া এবং ছড়া-নর্দমার তলদেশে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্যে ভরাট হয়ে থাকা। এর বাইরে শহরের বুক চিরে প্রবাহিত সুরমা নদীর নাব্যতা হারানোও জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ বলে তাঁরা মনে করেন।
এ ব্যাপারে জানতে শনিবার সকালে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান সাড়া দেননি। তবে সম্প্রতি তিনি জানান, নগরের বিভিন্ন এলাকায় নালা-নর্দমার উন্নয়নকাজ চলছে। এ ছাড়া খাল-ছড়াও খনন হচ্ছে। উন্নয়নকাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available